জনগণ আওয়ামী লীগের সঙ্গে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আওয়ামী লীগ আবার সরকার গড়বে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী এ আশাবাদের কথা জানান।
সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের জনগণের ওপর আমার বিপুল আস্থা। মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। জনগণের ভোটেই আমরা নির্বাচিত হবো।’
৫ জানুয়ারির নির্বাচন ঠেকানোর নামে আগে-পরে বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সে সময় জনগণই রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। ভোটও দিয়েছিলেন তারা। সেই জনগণ আবার আমাদের ভোট দেবেন।’
নির্বাচন ঘিরে বিএনপিসহ বিরোধীদের অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘নালিশ করার পাশাপাশি বিভ্রান্তি ছড়াতে এবং মিথ্যা কথা বলতে তারা ভীষণ পারদর্শী। তাছাড়া মনোনয়ন নিয়ে নিজেদের মধ্যেই সংঘাতে জড়িয়েছে তারা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের মধ্যে ভালবাসা দেখতে পেলাম! তারা অন্তর থেকে চাইছেন, আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসুক। জনগণ এটা জানেন, আওয়ামী লীগের মাধ্যমেই তাদের ভাগ্য পরিবর্তিত হবে। তাছাড়া, এবারের নির্বাচনটা আগের মতো অতো চ্যালেঞ্জিং নয়। বৈরিতার পরিবেশও নেই। বরং আমাদের পক্ষে একটা পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এর আগের নির্বাচনগুলোয় একটা বিভেদ লক্ষ করতাম। এবার কিন্তু একচেটিয়াভাবে সবার সমর্থনটা আমাদের সঙ্গে রয়েছে। সেটা টেরও পাচ্ছি।’
এবারের নির্বাচনে জামায়াতের নেতাদের ধানের শীষ প্রতীক পাওয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নিবন্ধন বাতিল করলো তাদের, তাদের কিভাবে নমিনেশন দেওয়া হয়? জামায়াত গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল। বুদ্ধিজীবী হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল। মেয়েদের পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া থেকে শুরু করে ঘর-বাড়ি পর্যন্ত দখল করেছিল। তাদের নমিনেশন দেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই মানুষ শঙ্কিত!’ সূত্র : আনন্দবাজার