আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হওয়ার পর দলকে ওয়ানডে সিরিজ জিতিয়েছেন। নেতা হিসেবে তো বটেই, তার পারফর্মেন্সও ছিল নজড়কাড়া। অনেকেই বলেছিল, রাজনীতিতে নামলে তার খেলায় বাজে প্রভাব পড়বে। সবকিছুই ভুল প্রমাণ করে দিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন আগেই। গতকাল উইন্ডিজের কাছে বাংলাদেশের সিরিজ খোয়ানোর দিনে গ্যালারিতে আসা অনেক ভক্ত বললেন, তার নির্বাচনে বিজয়ী মাশরাফিকে দেখতে চান।
স্টেডিয়ামের প্রবেশ মুখের গেটে ভিড় করেছে হাজার-হাজার দর্শক। বেলা ১২টা থেকেই গেটের মুখে লাইন ধরেছিল তারা। শুধুমাত্র বাংলাদেশের সিরিজ জয় দেখতে। কিন্তু নাটকীয় ম্যাচে শেষ পর্যন্ত সেটা হয়নি। তুমুল উত্তেজনার মাঝেও মাশরাফির কথা স্মরণ করেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। নড়াইল-২ আসন থেকে দেশের প্রাচীনতম দল আওয়ামী লীগ থেকে আসন্ন একাদশ জাতীয় নির্বাচনে নিবার্চন করবেন মাশরাফি। মাঠের বাইরে মাশরাফির বড় পরীক্ষার ফলাফল দেখার অপেক্ষায় আছেন তিন বন্ধু সূচি রহমান, শায়লা জাবিন ও রাশেদুল সাবিত।
২২ গজের মত নির্বাচনের মাঠেও মাশরাফির জয় দেখতে চান সূচি-শায়লা-রাশেদুল। ঢাকা সিটি কলেজ থেকে অনার্স-মাস্টার্স শেষ করা সূচি বলেন, ‘মাশরাফি শুধু ওয়ানডে খেলছেন। কিন্তু আমি তাকে সব ফরম্যাটেই মিস করি। সামনে উনার বড় পরীক্ষা। একাদশ জাতীয় নির্বাচনে উনি অংশগ্রহণ করেছেন। আমি চাই মাঠের মত সেখানেও দুর্দান্ত পারফর্ম করুক মাশরাফি। এই নির্বাচনে মাশরাফির জয় দেখতে মুখিয়ে আছি আমি।’
সূচিরই স্কুলের বন্ধু শায়লা। বর্তমানে গৃহিনি তিনি। সাংসারিক কাজের কারণে মাঠে আসা হয় না তার। দীর্ঘদিন পর খেলা দেখতে এসেছেন। তবে টিভি সেটের সামনে মাশরাফির খেলা নিয়মিতই দেখেন তিনি। নির্বাচনে মাশরাফির জিতুক, এমনটিই চাইছেন শায়লা, ‘মাশরাফি শুধুমাত্র ক্রিকেটের সম্পদ নয়, আমাদের দেশের সম্পদ। নির্বাচনে জিতে মাশরাফি দেশের সেবায় নিয়োজিত হবে বলে বিশ্বাস করি।’
নির্বাচনে মাশরাফি জয় দেখছেন রাশেদুল। তাই নির্বাচনের আগে মাশরাফিকে শুভ কামনা জানিয়েছেন তিনি, ‘পুরো দেশ জুড়ে মাশরাফির জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। নিজ জেলায় তো মাশরাফির জনপ্রিয়তা আছেই। শুধুমাত্র তার খেলা দিয়েই নয়, ব্যক্তি মাশরাফিও অনন্য। তাই আসন্ন নির্বাচনে মাশরাফি জয় নিশ্চিতই। এজন্য তাকে শুভ কামনা জানাচ্ছি।’