জনপ্রিয় অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান। সিদ্দিক হিসেবেই ভক্তদের নিকট পরিচিত। কিন্তু আসন্ন সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কা নিয়ে টাঙ্গাইল ১ (মধুপুর-ধনবাড়ি) আসন থেকে নির্বাচন করতে চান এই অভিনেতা। ইতোমধ্যে মনোয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।
সিদ্দিক বলেন, আমি শতভাগ বিশ্বাস করি নেত্রী আমাকে মনোনয়ন দেবেন। ১৪ তারিখে আমাকে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হয়েছে। সেদিনই ফয়সালা হবে সবকিছু, সবাই জানবেন কে নির্বাচনে যাচ্ছেন। তবে নেত্রীর প্রতি আমার আস্থা রয়েছে। তিনি যে সিদ্ধান্ত নেবেন তাই মেনে নেবো।
শতভাগ আস্থার কারণ সম্পর্কে সিদ্দিক বলেন, টাঙ্গাইল- ১ আসনে একমাত্র আমি মনোনয়নপত্র নিয়েছি। এছাড়া এই এলাকার কেউ মনোনয়ন নেয়নি, যারা নিয়েছেন তারা কেউ টাঙ্গাইল ১ আসনের লোক নয়। তাই আমার বিশ্বাস দলের হাই কমান্ড এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেবে।
সিদ্দিক বলেন, আমি ২৪ ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আমার পরিবার জড়িত। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে জড়িয়ে পড়ি। এখনো আমি বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাথে যুক্ত। সাধারণ সম্পাদকের পদ প্রত্যাশী।
আমারও দুঃখ আছে, আমি দুঃখকে পুঁজি করি না : সিদ্দিক
সিদ্দিকুর কালের কণ্ঠকে বলেন, আমি ২০০৮ সাল থেকে এলাকায় গণসংযোগ করছি। এলাকার নানা উন্নয়ন্মূলক কর্মাকাণ্ডের সাথে যুক্ত আছি। নিজের হাতে অনেকগুলো সংগঠন করেছি এলাকায়।
সিদ্দিক বলেন, ভেবেছিলাম অংশ নেবো না। কিন্তু এলাকার মানুষের জন্য সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছি। তারা আমাকে চায়। এজন্য আমিও ভাবলাম আমাদের মতো তরুণদের আসলে পিছিয়ে পড়া উচিৎ না। সারা বাংলাদেশের সেবা হয়তো আমার দ্বারা সম্ভব না। আমার এলাকার সেবা তো করতে পারি।
টাঙ্গাইল-১ সংসদীয় এলাকায় গণসংযোগের অংশ হিসেবে মধুপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ সংস্কার ও মিনার স্থাপন হয়েছে সিদ্দিকের অর্থায়নে। সেখানে তার নাম ফলকে খোদাই করা রয়েছে। এছাড়াও সিদ্দিক হোস্টেল নামে তার স্কুল চাপরি গণবহুমখী উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি হোস্টেল নির্মিত হচ্ছে।