কোনো শর্ত-দফা নয়, খোলামেলা পরিবেশেই আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ড. কামাল হোসেন ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতির কাছে চিঠি দিয়েছেন। এ নিয়ে মন্ত্রিসভায় যে কথা হয়েছে, সেখানে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন- যেহেতু তারা দেখা করতে চেয়েছেন, শেখ হাসিনার দরজা তাদের জন্য খোলা, তারা দেখা করতে পারবেন।
আজ মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ে নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা সাত দফা দাবি ও ১১টি লক্ষ্য উল্লেখ করেছেন চিঠিতে। কিন্তু জানা থাকা দরকার, কতোগুলো বিষয় আছে আমাদের এখতিয়ারে নেই, সেখানে বিষয় আছে সংবিধান সংশোধনের, দুই-একটা বিষয় আছে আইন-আদালতের, দুই-একটা বিষয় নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার। আর তারা যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের কথা বলছেন, সেটাতো তারা এখনো পাচ্ছেন, সভা-সমাবেশ করছেন। আর তফসিল ঘোষণা হয়ে গেলে এসব তখন নির্বাচন কমিশন দেখবে। আর বিদেশি পর্যবেক্ষকের যে কথা তারা বলছেন, সেটাও আমাদের গ্রহণ করার বিষয় নয়, এটাও নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার।
ওবায়দুল কাদের জানান, সংলাপে ঐক্যফ্রন্টের কতোজন থাকবেন সেটা নিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোনো বাধা নেই। মঙ্গলবার ঐক্যফ্রন্ট তালিকা পাঠাবে। সেটা দেখে আওয়ামী লীগও তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে।
এ ছাড়াও ঐক্যফ্রন্টের নেতা মোস্তফা মহসিন মিন্টুর সঙ্গে আলাপের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিভিন্ন পেপারে খবর এসেছে আমরা নাকি ১০ জনের নাম প্রস্তাব করেছি। এটা সত্য নয়। আমি মোস্তফা মহসিন মিন্টুর সঙ্গে বলেছি তারা কয়জন আসতে চান। তিনি বলেছেন ১৫ জন। আমি বলেছি, ১৫ জন কেন, চাইলে ২০-২৫ জনও আসতে পারেন। আর খাবার মেন্যু নিয়েও নাকি কথা বলেছি। এসব হালকা বিষয় পেপারে না আসাই ভালো।
সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়ে গত ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দেয় ঐক্যফ্রন্ট। এতে সাড়া দেন প্রধানমন্ত্রী। এরপরে আজ মঙ্গলবার সকালে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেয় আওয়ামী লীগ।