জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বড় স্কোর চান বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজা। মাশরাফি বলেছেন, ‘একজন সেঞ্চুরি করলে তার সঙ্গে অন্তত দুুইজন ব্যাটসম্যান দাঁড়াতে পারলে অনায়াসে ৩০০ রান এসে যায়। কিন্তু প্রথম ম্যাচে সেটা হয়নি।’
গতকাল মঙ্গলবার প্র্যাকটিসের একপর্যায়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘ওই ম্যাচে তিনশ’র বেশি রান প্রত্যাশিত ছিল। বিশেষ করে কেউ বড় স্কোর করলে তার একজন সহযোগী দরকার হয়। দলে সে রকম ব্যাটসম্যান লাগবে। সাত নম্বরে একজন অলরাউন্ডারের অভাব বোধ করছে দল। তবে আশার কথা, সাইফউদ্দিন সেই অভাব পূরণ করতে পেরেছে। সে যদি এভাবে পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারে তাহলে একটা সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে।’
টাইগার অধিনায়ক মনে করেন, ‘অবশ্যই প্রতিপক্ষ হিসেবে জিম্বাবুয়েকে ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। প্রথম ম্যাচ জিতলে পুরো সিরিজটা সহজ হয়ে যায়। তবে আমরা মোটেই হেলাফেলা করছি না। সিরিজটা কীভাবে নিশ্চিত করা যায় সেই চেষ্টাই করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘খেলায় অনেক কিছু হতে পারে। এখানে শিশির-ফ্যাক্টর আছে। ঢাকায় যে চ্যালেঞ্জটা ছিল, এখানে সেই চ্যালেঞ্জটা আরও বেশি। বিশেষ করে যদি আগে ব্যাট করি। পরে বোলিং করতে হলে স্পিনারদের ভূমিকা কী হবে, পেস বোলারদের কীভাবে কাজে লাগাব, এসব মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। আমরা যেন পরের ম্যাচে কোনো ভুল না করি সেটা মাথায় রাখতে হবে। এর পাশাপাশি দুর্বল জায়গাগুলো ঠিক করতে হবে। গত ম্যাচটা খুব আদর্শ একটা ম্যাচ না হলেও অনেকটা ভালো হয়েছে যে সাতে নেমে সাইফউদ্দিন রান করেছে, ব্যাক টু ব্যাক ম্যাচে তামিম না থাকার পরও একজন ওপেনারের সেঞ্চুরি পাওয়া গেছে। অনেক ইতিবাচক দিক আছে।’
এ ছাড়াও সাইফউদ্দিনের ইনিংস প্রসঙ্গে মাশরাফি বলেন, ‘যেমন মিডল অর্ডারে মুশফিক ধারাবাহিকভাবে রান করে আসছে, রিয়াদ (মাহমুদউল্লাহ) রান করছে, সাকিব-তামিম যখন ছিল, তারা রান করেছে। এখন সাকিব-তামিম না থাকাতে ওদের দায়িত্ব অন্যকে নিতে হচ্ছে। তারা ভালো করছে। এটাই সবচেয়ে ভালো দিক। ভারত বা অন্যান্য বড় টিমের ক্ষেত্রে যেটা হয় যে টপ অর্ডার সব সময় রান করল, অন্য জায়গাগুলো চাপের মুখে ভেঙে পড়ে। এই জায়গাগুলোতে দায়িত্ব নেওয়া এবং পারফর্ম করা, এগুলো হচ্ছে একটা ভালো টিমের লক্ষণ। এটা ধরে রাখাও একটা চ্যালেঞ্জ। আমাদের এর ওপর ফোকাস করতে হবে। সামনে আরও বড় সিরিজ আসছে। তখন আমরা যেন এটা কাজে লাগাতে পারি।’
টস জিতে রান তাড়া করাটা এই মাঠে কতটা চ্যালেঞ্জিং জানতে চাইলে মাশরাফি বলেন, ‘গতকাল (সোমবার) নাকি অনেক কুয়াশা ছিল। কুয়াশা কেমন থাকে সেটা দেখার ব্যাপার আছে। কুয়াশা থাকলে যারা পরে ফিল্ডিং করবে, তাদের জন্য কঠিন হবে। ওই চ্যালেঞ্জটা মাথায় রেখেই আমাদের খেলতে হবে। কুয়াশা থাকলে টস গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু টস হবে দুপুরে। আর কুয়াশা পড়বে সন্ধ্যার পরে। সাম্প্রতিক ম্যাচগুলো যদি দেখেন, আমরা আগে ব্যাট করতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। এশিয়া কাপ, ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রায় সব ম্যাচেই আগে ব্যাট করেছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজে যেটা হেরেছিলাম সেটা পরে ব্যাট করে। তাই এখানেও আগে ব্যাট করতে চাই। কিন্তু যদি কুয়াশা থাকে তাহলে ওই চিন্তা থেকে অবশ্যই বের হয়ে আসতে হতে পারে।
আজ বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে প্রথম ম্যাচ জিতে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।