২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়কে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই জানিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, বুধবার ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়। এ রায়কে কেন্দ্র করে নিরাপত্তাজনিত কোনো হুমকি নেই এবং নিরাপত্তা বিঘ্ন হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এটা আদালতের একটা স্বাভাবিক কার্যক্রমের অংশ।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনে আয়োজিত ‘ডিএমপি শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নগরবাসীর উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, রায়কে ঘিরে নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। নগরবাসীর জান-মালের নিরাপত্তা দিতে পুলিশ প্রস্তুত।
২১ আগস্টের রায় উপলক্ষে পুলিশ সতর্ক রয়েছে জানিয়ে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, আমাদের নজরদারি রয়েছে। এ রায়কে কেন্দ্র করে কোনো স্বার্থান্বেষী মহল সহিংসতার চেষ্টা করলে তাদের কঠোর হাতে দমন করা হবে। কোনো ধরনের অপতৎপরতা বরদাসত করা হবে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা কোনো পলিটিকস করি না, কিন্তু জনগণের জান-মাল রক্ষা করা আমাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব। কেউ দেশের স্বাভাবিক নিরাপত্তা বিঘ্ন করার চেষ্টা করলে কঠোরভাবে দমন করে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে।
সহিংসতার চেষ্টা করলে কাউকে এক বিন্দু ছাড় দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন ডিএমপি কমিশনার। একইসঙ্গে ২০১৩-১৪ সালের জ্বালাও-পোড়াও, নৈরাজ্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, সে সময়ে যে সহিংসতা চালানো হয়েছিল সেই দিন শেষ। ২০১৩-১৪ সালের পুনরাবৃত্তির চেষ্টা করলে সেই স্বার্থান্বেষী মহলকে কঠোর হাতে দমন করা হবে।
তিনি আরো বলেন, ২০১৬ সালে বিদেশিদের হত্যা করে দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু আমাদের পুলিশ সদস্যরা দেশের গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত হতে দেয়নি। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত জঙ্গিবিরোধী অনেকগুলো সফল অভিযান পরিচালনা করে আমরা সারাবিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছি।
ডিএমপি প্রধান বলেন, বর্তমানে রাজধানীতে চুরি-ডাকাতি, ছিনতাইসহ সংঘবদ্ধ অপরাধ নেই বললেই চলে। এর কারণ রাতদিন আমাদের পুলিশ, ডিবি, কাউন্টার টেরোরিজম সদস্যরা সতর্ক থেকে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘কোনো অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হবে না।’ তার নির্দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে ডিএমপি শিক্ষাবৃত্তির সনদ ও নগদ অর্থ ডিএমপি সদস্যদের হাতে তুলে দেন তিনি।