তারাগঞ্জে প্রসব বেদনায় কাতর স্ত্রীকে না জানিয়ে সদ্য ভূমিষ্ঠ পুত্র সন্তানকে বিক্রির ৩ দিন পর মায়ের বুকে ঠাঁই হয়েছে শিশুটির।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বাড়িতেই উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের ভীমপুর শাইলবাড়ী গ্রামের কৃষক এজান উদ্দিনের দ্বিতীয় স্ত্রী নাসরিন একটি ফুটফুটে পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়ে অচেতন হয়ে পড়েন।
অভাবের তাড়নায় নাসরিনের স্বামী কৃষক এজান সদ্য ভূমিষ্ঠ পুত্র সন্তানকে পার্শ্ববর্তী বদরগঞ্জ উপজেলার সাহাপুর এলাকার শামিমা বেগমের কাছে ওই দিন রাতেই বিক্রি করে দেন। পরে নাসরিনের জ্ঞান ফিরে এলে তার নাড়িছেঁড়া ধনকে দেখতে না পেয়ে চিৎকার দিয়ে ওঠেন। এ সময় নাসরিনের স্বামী সন্তান বিক্রি করার কথা স্বীকার করেন।
ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে লোকজন সোমবার বিকালে শিশু ক্রেতা শামিমাসহ নাসরিনের শিশুটিকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে শিশুটিকে তার মা নাসরিনের কোলে তুলে দেয়া হয়।
তবে শামিমা দাবি করেন, ৫-৬ মাস আগে নাসরিন ও তার স্বামী সংসারে অভাবের কারণে রংপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে শিশু সন্তানটিকে নষ্ট করার জন্য যায়। ওই দিন শামিমার সঙ্গে নাসরিন ও তার স্বামী এজানের পরিচয় হয়। শিশুটিকে নষ্ট না করে শামিমা তার নিঃসন্তান এক ভাতিজিকে দিতে বলেন।
সে কথামতো কৃষক এজান শিশুটি ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরপরই শামিমার কাছে বিক্রি করে দেন।