শরীর বিষ মুক্ত হয় : খাবারের সঙ্গে তো বটেই, আরও নানাভাবে একাধিক ক্ষতিকর উপাদান আমাদের শরীরে এবং রক্তে প্রতিনিয়ত মিশে চলেছে। আর এক্ষেত্রে আপনাকে দারুনভাবে সাহায্য করতে পারে পানি এবং মধু। এই পানীয়টি খাওয়ার পর পরই প্রস্রাবের হার বেড়ে যাবে। ফলে কিডনি, প্রস্রাবের মধ্যে দিয়ে শরীরে উপস্থিত এইসব টক্সিক উপাদানদের বের করে দিতে পারবে। ফলে কমবে নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে : প্রতিদিন মধু এবং গরম পানি খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন রোগের ভোগান্তি আর পোয়াতে হবে না। মধুতে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট শরীরের অন্দরে খারাপ ব্যাকটেরিয়ার বাঁচতে দেয় না। সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এতটাই চাঙ্গা করে তোলে যে অন্যান্য ক্ষতিকর জীবনুও শরীরের ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।
গলার ব্যথা এবং জ্বর-সর্দির প্রকোপ কমে : হঠাৎ ঠাণ্ডা লেগে যাওয়ার কারণে গলায় ব্যথা। সেই সঙ্গে হাঁচি-কাশি? এক গ্লাস গরম পানিতে কয়েক চামচ মধু মিশিয়ে খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবেই মিলবে। বুকে সর্দি জমে থাকার মতো সমস্যা কমাতেও মধুর কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।
অ্যালার্জির মতো রোগ দূরে পালায় : নিয়মিত এক গ্লাস গরম পানিতে মধু মিশিয়ে পান করলে আমাদের আশেপাশে ঘুরে বেরানো পলেন বা অ্যালার্জি সৃষ্টিকারি উপাদানগুলি সেভাবে আমাদের উপর কোনও প্রভাব ফেলতে পারে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অ্যালার্জির প্রভাব কমতে শুরু করে।
আর্থ্রারাইটিসের মতো রোগের প্রকোপ কমায় : নিয়মিত গরম পানিতে পরিমাণ মতো মধু এবং দারচিনি পেস্ট মিশিয়ে খেলে জয়েন্টে প্রদাহ কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে হাড়ও শক্তপোক্ত হয়ে ওঠে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আর্থ্রারাইটিসের মতো রোগের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না।
ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে : মধুতে থাকা বেশ কিছু উপাকারি উপাদান হজম ক্ষমতাকে এতটা বাড়িয়ে দেয় যে শরীরে মেদ জমার কোনও সুযোগই পায় না। সেই সঙ্গে বদ-হজম এবং গ্যাস-অম্বলের সমস্যাও দূরে পালায়। এক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস গরম পানিতে পরিমাণ মতো লেবু এবং মধু মিশিয়ে খেতে হবে। কয়েক মাস এই পানীয়টি খেলেই দেখবেন উপকার মিলতে শুরু করেছে।
ইন্টারনেট থেকে