ঢাকা আসছেন এক বিশ্বকাপার। রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলা কোস্টারিকান ফরোয়ার্ড ড্যানিয়েল কলিনড্রেসের সঙ্গে চুক্তি করেছে বসুন্ধরা কিংস। সব ঠিক থাকলে আগামী বুধবার তিনি ঢাকা এসে পৌঁছাবেন।
সাফ ফুটবলের ব্যর্থতায় আবার মাঠবিমুখ দর্শক। তাদের আবার মাঠে ফেরাতেই বসুন্ধরা কিংস আনছে কলিনড্রেসকে। ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ইমরুল হাসান মনে করেন, ‘শুধু নামকাওয়াস্তে বিদেশি এনে লাভ নেই। আমাদের পিছিয়ে পড়া ফুটবলে এমন বিদেশি লাগবে যাদের টানে মাঠে দর্শক আসবে। ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেওয়ার মতো বিদেশি আনার উদ্যোগ নিয়েছি আমরা। উঁচু মানের খেলোয়াড়ের সঙ্গে খেললে আমাদের খেলোয়াড়দেরও উন্নতি হবে। তাই বিশ্বকাপে খেলা কলিনড্রেসকে আমরা পছন্দ করেছি।’
রাশিয়া বিশ্বকাপে তিনি দুটি ম্যাচ খেলেছেন কোস্টারিকার জার্সিতে। সেখানে বাঁ দিকের উইং ধরে খেললেও কিংসে থাকবেন সেন্ট্রাল অ্যাটাকিং রোলে। কিংবা সেন্টার ফরোয়ার্ড হিসেবে, তাঁর ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি উচ্চতা গোল সহায়ক হবে বলে মনে করেন কিংসের স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজোন।
ফুটসাল খেইে তাঁর বড় হওয়া। তাই বলের নিয়ন্ত্রণ এবং পায়ের কারুকাজ মুগ্ধতা ছড়াবেই। সর্বশেষ দেপোর্তিভো সাপ্রিসায় খেলা ৩৩ বছর বয়সী এই ফুটবলারের কোস্টারিকা দলে অভিষেক হয় ২০১১ সালে। এ পর্যন্ত তিনি ১২টি ম্যাচ খেলেন কোস্টারিকার জার্সিতে। দলের সঙ্গে জাপান ট্যুর করছেন।
বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে কলিনড্রেস বিশ্বকাপ খেলা প্রথম ফুটবলার নন। এর আগে ’৮৬ বিশ্বকাপ খেলা সামির শাকির খেলেছেন ঢাকা আবাহনীর হয়ে। এই ইরাকি ডিফেন্ডার দুর্দান্ত খেলে ঢাকা মাতিয়ে পরে কোচ হিসেবেও বাংলাদেশকে প্রথমবারের মতো উপহার দেন সাফ ফুটবলের সোনা। মোহামেডানে খেলা এমেকা ইউজিগোরও বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা আছে। তবে সেটা সাদা-কালো ছেড়ে গিয়ে ’৯৪ বিশ্বকাপ খেলেছেন নাইজেরিয়ার হয়ে। সেই তুলনায় বিশ্বকাপের তাজা অভিজ্ঞতা নিয়ে আসছেন ড্যানিয়েল কলিনড্রেস। ‘তাঁর সঙ্গে আরো তিনজন ভালো বিদেশি যোগ করতে পারলে কিংসের খেলাটা হবে দেখার মতো। আমাদের হাতে এখন অনেক বিদেশি আছে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আরো কয়েকজন আসবে ট্রায়ালে। সেখান থেকে বাছাই করে সেরা তিনজনকে নেব’—বলেছেন ক্লাব প্রেসিডেন্ট ইমরুল হাসান।