ফেসবুক অন্য ভাষা থেকে বার্মিজ ভাষায় অনুবাদের সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। রোহিঙ্গাবিরোধী প্রচারণা ও মন্তব্য ঠেকানোর চেষ্টার অংশ হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি এ উদ্যোগ নিল।
রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারে গণহত্যা ও নিপীড়ন নিয়ে ফেসবুকে বিভিন্ন ভাষায় লেখালেখি হয়। মিয়ানমারে সেই লেখা বার্মিজ ভাষায় অনুবাদ করে রোহিঙ্গাবিরোধী মন্তব্য করা হচ্ছিল। যুক্তরাজ্যভিত্তিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ নিয়ে একটি প্রতিবেদনও প্রকাশ করে।
ফেসবুকের একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেছেন, গত ২৮ আগস্ট ফেসবুকে বার্মিজ অনুবাদের ব্যবস্থাটি বন্ধ করে দিয়েছে। রয়টার্সের প্রতিবেদন ও ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মতামত তাদের এ উদ্যোগ নিতে ভূমিকা রেখেছে। ফেসবুক মুখপাত্র আরো বলেন, ‘আমরা অনুবাদের মানোন্নয়নে কাজ করছি। সে পর্যন্ত মিয়ানমারে অনুবাদের ব্যবস্থা বন্ধ থাকবে।’ রয়টার্স জানায়, মিয়ানমারের বার্মিজ ভাষা ব্যাখ্যা করা নিয়ে ফেসবুকের সমস্যা ছিল। অন্য ভাষার অনেক বাক্য সেখানে ভুল অনুবাদ হতো।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ফেসবুক ব্যবহার করে মিয়ানমারে সাম্প্রদায়িক সংঘাত, হিংসা, বিদ্বেষ ছড়ানোর অনেক নজির আছে। সেখানে ফেসবুকে অনেকে রোহিঙ্গা ও অন্য মুসলমানদের সম্পর্কে আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করে।
গত ২৭ আগস্ট জাতিসংঘের সত্যানুসন্ধানী দল মিয়ানমারে গণহত্যার তথ্য প্রকাশের পাশাপাশি রোহিঙ্গাবিরোধী বিদ্বেষ ও সহিংসতা ছড়ানোর ক্ষেত্রে ফেসবুকের ভূমিকা তুলে ধরে। সেদিনই ফেসবুক কর্তৃপক্ষ মিয়ানমারের সেনাপ্রধানসহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক পেজ মুছে ফেলে।
জাতিসংঘের সত্যানুসন্ধানী দল তাদের প্রতিবেদনে ফেসবুকের ভূমিকাও তদন্তের সুপারিশ করেছে। জাতিসংঘের সদ্য বিদায়ী মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান যায়িদ রাদ আল হুসেইন সতর্ক করে বলেছেন, বিতর্কিত ভূমিকার কারণে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে যুদ্ধাপরাধের বিচারের সম্মুখীন করা হতে পারে।