বিশেষ জজ আদালত-৫-এ বিচারাধীন কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিচার সম্পন্ন করতে পুরাতন ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের চলছে মামলার শুনানি। আর এই শুনানিকে ঘিরে পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের আশপাশে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সেই আদালতে হাজির করা হয়েছে। আজ বুধবার এই কারাগারেই বসেছে বিশেষ আদালত, শুরু হয়েছে মামলার শুনানি।
এদিকে শুনানিকে সামনে রেখে গোটা এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুরাতন এই কারাগারটির দুই দিকের সড়কেই যানচলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে আশপাশের দোকানপাটও। এছাড়া যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। সামনে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িও।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিভাগ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিচার সম্পন্ন করতে ঢাকার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্থায়ী আদালত স্থাপন করে গেজেট প্রকাশ করে। আইন মন্ত্রণালয়ের ওই গেজেটে বলা হয়, নিরাপত্তাজনিত কারণে সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী আদালত থেকে নাজিমুদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের কক্ষ নম্বর-৭ কে অস্থায়ী আদালত ঘোষণা করা হয়েছে। এখন থেকে সেখানেই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল দুর্নীতি মামলার বিচার কাজ সম্পন্ন হবে।
এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া দণ্ডিত হওয়ার পর থেকে পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি আছেন। এরপর থেকে তারিখ পড়লেও অসুস্থ থাকায় চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আদালতে হাজির হতে পারেননি তিনি। এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন সাক্ষী। ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা করা হয়। এ ট্রাস্টের নামে অবৈধভা