অভিনেত্রী জয়া মডেল ফয়সালের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করেন। বিয়ের পর ধানমন্ডিতে প্রেমের সোপান হিসেবে একটি ফাস্টফুডের দোকান খুলতেও দেখা যায় তাদের। সুখেই চলছিল তাদের সংসার। কিন্তু হঠাৎ অজানা কিছু বিষয় নিয়ে মনোমালিন্যের ঝড় বইতে শুরু করে। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। শোনা যায় স্বামী ফয়সাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তাকে ডিভোর্স লেটার পাঠান জয়া।
নব্বই দশকের অসম্ভব জনপ্রিয় মডেল ও পরিচিত মুখ ফয়সাল দীর্ঘ সময় ক্যামেরার আড়ালে ছিলেন। বলা যায় জয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ফয়সালকে তেমন দেখাই যায়নি। শোনা যায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন ফয়সাল। বর্তমানে রেস্টুরেন্ট, বুটিক হাউজ ও এক্সপোর্ট অ্যান্ড ইমপোর্টের ব্যবসায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন তিনি।
এছাড়া সাবেক হকি খেলোয়াড়দের নিয়ে ‘ভ্যাটারান হকি বাংলাদেশ’ নামে একটি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। শোবিজে তিনি ফয়সাল আহসান নামে পরিচিত হলেও তার আসল নাম মোহাম্মদ ফয়সাল আহসানউল্লাহ। বহুদিন ধরে তিনি ক্যামেরা থেকে দূরে থাকলেও সম্প্রতি একটি টিভি অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে হাজির হয়েছেন। সেখানে নিজের সম্পর্কে নানা তথ্য জানিয়েছেন সাবেক এই অভিনেতা।
অনুষ্ঠানটিতে ফয়সাল জানান, পুরান ঢাকার হাফিজউল্লাহ রোডের জমিদার বাড়িতে বড় হয়েছেন তিনি। তার পূর্বপুরুষরাই ‘আহসান মঞ্জিল’ তৈরি করেছিলেন। স্কুল জীবন থেকেই হকি খেলার সাথে যুক্ত হন ফয়সাল। কম্বাইন্ড স্পোর্টিং ক্লাব, ঢাকা ওয়ান্ডার্স ক্লাব, ঊষা ক্রীড়া চক্রের হয়ে টানা ১০ বছর হকি খেলেছেন তিনি।
তিনি বলেন, এক সময়ের বিনোদন জগতের বন্ধুদের খুব মিস করি। তবে আমি এখন যেভাবে আছি, সৃষ্টিকর্তার কৃপায় ভালো আছি। ছোটবেলা থেকে মানুষের জন্য কাজ করতে চেয়েছি। সারাজীবন সেভাবেই থাকতে চাই। ভবিষ্যতে ক্যামেরার সামনে অভিনয় কিংবা মডেলিং নিয়ে ফিরে আসার আর সম্ভাবনা নেই।
শোবিজে ক্যারিয়ার গড়ার পেছনে মডেল পল্লব, নির্মাতা আফজাল হোসেন ও অভিনয়ের জন্য মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে স্মরণ করেন ফয়সাল। ফারুকীর ‘ওয়েটিং রুম’ টেলিফিল্ম ছিল ফয়সাল অভিনীত প্রথম টেলিফিল্ম। এই টেলিফেল্মটির জন্য কলকাতা থেকে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি।
রুম্মান রশীদ খান ও লাবণ্যর উপস্থাপনায় ‘রাঙা সকাল’ অনুষ্ঠানে দর্শক তার অজানা কথাগুলো জানতে পারবেন। বিশেষ পর্বটি প্রচারিত হবে ঈদের পঞ্চম দিন সকাল ৭টা মছরাঙা টেলিভিশনে।