শাস্তি আরও বাড়িয়ে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউট (বিএসটিআই) আইন ২০১৮ এবং পাটের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত, মানসম্মত পাট উৎপাদন ও দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে গুরুত্ব দিয়ে জাতীয় পাটনীতি-২০১৮ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন মন্ত্রিসভা। আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, একটি অর্ডিন্যান্স সংশোধন করে নতুন করে নিয়ে আসা হয়েছে। আইনে শাস্তিগুলো বাড়ানো হয়েছে। লাইসেন্স ছাড়া স্ট্যান্ডার্ড মান ব্যবহার করলে আগের আইনে ৬ মাস জেল ও ১৫ হাজার টাকা জরিমানা থাকলেও এবার শাস্তি বেড়েছে অনধিক ২ বছর, আর জরিমানা রাখা হয়েছে এক লাখ টাকা। নিবন্ধন ছাড়া মান ব্যবহার করলে বাজেয়াপ্ত করার আইনও রাখা হয়েছে খসড়ায়। এছাড়া সোনালি আঁশ পাটের হারানো দিন ফেরাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। পাট ও পাটপণ্যের বাজার তৈরিতে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ছয় বছর পর পাটনীতি সংশোধনের খসড়া অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
তিনি আরো বলেন, পাটনীতির খসড়া এ খাতে সরকারি প্রণোদনা দেওয়ার প্রস্তাবসহ অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজার বাড়ানোকে প্রাধান্য দিয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে এক সময়ের প্রধান এ অর্থকরী ফসলের ভূমিকা বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। প্রস্তাবিত খসড়ায় পাটপণ্য বহুমুখীকরণ, এ খাতের উন্নয়নে সরকারি প্রণোদনা প্রদান, স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করা, পাটকলের আধুনিকায়ন ও একটি ইনস্টিটিউট স্থাপনকে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি কার্যকরে পাটনীতি বাস্তবায়ন সেল গঠনের প্রয়োজনীয়তাও উল্লেখ করা হয়েছে।