খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন পালন উপলক্ষে ঢাকা মহানগরীর ৭৫টি চার্চে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৫ হাজার সদস্য মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি প্রস্তুত রাখা হবে আনসার ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের।
আজ বুধবার বেলা ১টায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তকর্তা ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদরে এসব তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বড়দিন উপলক্ষে ঢাকা মহানগরীর ৭৫টি চার্চ ছাড়াও কূটনৈতিক জোন, হোটেলসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ২৪-২৫ ডিসেম্বর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীল ৫ হাজার সদস্য। এদের সহায়তার জন্য আনসার-বিজিবি সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হবে। বড় চার্চগুলোতে আর্চওয়ে ও সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে। ডিএমপি ও র্যাব আলাদা আলাদাভাবে নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করবে এবং ইভটিজার ও নেশাখোরদের নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, থার্টি ফার্স্ট পালন উপলক্ষে গুলশান-বনানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাতে রাত ৮টার পর বহিরাগতদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। সব বার বন্ধ থাকবে। লাইসেন্সধারী অস্ত্র বহনও নিষিদ্ধ থাকবে।
এছাড়া খোলা জায়গায় নাচ-গান করা যাবে না। আর জরুরি প্রয়োজনে ৯৯৯ সেবা চালু থাকবে। মন্ত্রী বলেন, আগে থার্টি ফার্স্টে আমাদের যুবকরা অবাধ্যভাবে চলাফেরা করতো। গত তিন বছর ধরে আমরা এটার ওপর নিয়ন্ত্রণ এনেছি। এবারও এই নিয়ন্ত্রণ অব্যাহত থাকবে।