মা যাবেন ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে,মেয়ে সেফহোমে
এ,কে,এম শফিকুল ইসলামঃ বগুড়ায় ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার সেই ছাত্রীকে রাজশাহী সেফহোমে ও তাঁর মাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার বিকেলে পুলিশের নিরাপত্তায় মা-মেয়েকে বগুড়ার জেলা দায়রা জজ আদালতে (শিশু আদালত-১) হাজির করা হলে বিচারক এমদাদুল হক এ আদেশ দেন। আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. আমানুল্লাহ এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আদালতে ওই দুজনের নিরাপত্তার জন্য আবেদন করা হলে বিচারক ওই ছাত্রীকে রাজশাহী সেফহোমে এবং মাকে জেল সুপারের মাধ্যমে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে শারীরিকভাবে সুস্থ হয়ে ওঠায় আজ দুজনকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। মেয়েকে ধর্ষণের পর মা-মেয়ের মাথা ন্যাড়া করে শারীরিক নির্যাতনের ঘটনায় দুটি মামলা করা হয়। মামলার প্রধান আসামি বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের সাময়িক বহিষ্কৃত আহ্বায়ক তুফান সরকারকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ প্রথম দফায় তিনদিন, পরে দুইদিন করে চারদিনসহ মোট সাতদিন রিমান্ডে নেয়। অন্যদিকে সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মার্জিয়া আক্তার রুমকিকে প্রথম দফায় তিনদিন, পরে আরো দুইদিন রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ড শেষে গতকাল রোববার তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামি তুফান সরকার ও তাঁর সহযোগীরা এসএসসি পাস এক ছাত্রীকে ভালো কলেজে ভর্তি করার কথা বলে গত ১৭ জুলাই শহরের নামাজগড় এলাকায় তাঁদের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে এ ঘটনা কাউকে না জানাতে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। ধর্ষণের ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে গত ২৮ জুলাই বিকেলে তুফান সরকারের স্ত্রী আশা ও তাঁর বড় বোন বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর মার্জিয়া আক্তার রুমকিসহ কয়েকজন মিলে ওই ছাত্রী ও তাঁর মাকে বেধড়ক পিটিয়ে মাথা ন্যাড়া করে দেন। তাঁদের বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।