Saturday , 28 September 2024
সংবাদ শিরোনাম

এ দেশের শ্রমিকরা আজ ভালো নেই:খালেদা জিয়া

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, এ দেশের শ্রমিকরা আজ ভালো নেই। তাঁদের ওপর নানা নির্যাতন-অত্যাচার হচ্ছে।ইতিহাসের ভয়াবহতম রানা প্লাজা ধসের কথা উল্লেখ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের এক নেতা দখল করা জায়গায় রানা প্লাজা গড়েছিলেন। সেই রানা প্লাজা ধসে শত শত শ্রমিক মারা গেল। অনেকে আহত হয়েছে। এখনো অনেক শ্রমিকের খোঁজ পায়নি স্বজনরা। এই সরকার আহত-নিহতদের কোনো ক্ষতিপূরণ দেয়নি।’খালেদা জিয়া বলেন, ‘এই হচ্ছে অবৈধ সরকারের কার্যক্রম। রানা প্লাজার শ্রমিকদের জন্য অনেক টাকা ওঠানো হয়েছে। কোথায় গেল সেই টাকা? শ্রমিকদের ভাগ্যে সেই টাকা গেল না কেন?’বিএনপি চেয়ারপারসন আরো বলেন, ‘আজকে দেশে সরকারি দল ছাড়া কারো কোনো অধিকার নেই। শ্রমিকদের কোনো অধিকার নেই। এই সরকার মানুষকে মানুষ মনে করে না।’মহান মে দিবস উপলক্ষে আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন। আজ রোববার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল।এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসন মহান মে দিবস উপলক্ষে দেশ-বিদেশের শ্রমিক শ্রেণির প্রতি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। খালেদা জিয়া তাঁর আমলে শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষায় নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সমাবেশস্থলে পৌঁছান খালেদা জিয়া। এর আগেই সমাবেশের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে শ্রমিক দল।বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ ছেড়ে কোথাও যাব না। আমাদের ছেলেদের বলা হয়েছিল, তোমরা দেশ ছেড়ে চলে যাও তোমাদের কিছু হবে না। কিন্তু আমার ছেলেরা বলেছে, আমরা দেশ ছেড়ে যাব না। বিদেশে আমাদের কিছু নেই। আমাদের মা এখানে আছে, আমাদের বাবা দেশের জন্য যুদ্ধ করেছে, স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছে। যেতে চায়নি বিধায় তাদের এই পরিণতি ভোগ করতে হয়েছে।’এ সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী সামরিক বাহিনী সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে জেলে থাকাকালীন বৃদ্ধ মায়ের সঙ্গে চেষ্টা করেও দেখা না হওয়া এবং তারপর তাঁর মারা যাওয়ার কথাও উল্লেখ করেন।খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমার পরিবারকে শেষ করেছে। আমার বাবা নেই, মা নেই, ভাই নেই, বোন নেই। আপনারাই আমার সব, এই শ্রমিক-কৃষক মেহনতি জনতাই আমার সন্তান। আপনারাই আমার ভরসা। আমার একমাত্র ছেলে তারেক, সে বিদেশে বসে আপনাদের কথা ভাবে। আমি যখন লন্ডনে গেলাম, তাদের কাছে বেশ কিছুদিন ছিলাম। কিন্তু এ সময়েও তারা রটিয়ে দিল যে, আমি নাকি দেশে আসব না। আমি ফিরে এসেছি আপনাদের মাঝে।’

Share!

About newsfair

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top