Friday , 1 November 2024
সংবাদ শিরোনাম

সরকারি চাকরিজীবীরা পরিচয়পত্রের ভুলে নতুন স্কেলে বেতন পাচ্ছেন না

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে দিয়ে বিপাকে পড়েছেন চট্টগ্রামের প্রায় ২০ হাজার আবেদনকারী। সংশোধনী ফরম জমা দেওয়ার দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও  মেলেনি সংশোধিত পরিচয়পত্র। ফলে গেল ৬ মাস ধরে তারা ঘুরছেন আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে। এতে সবচেয়ে বেশি সংকটে আছেন সরকারি চাকুরিজীবিরা। পরিচয়পত্র সংশোধন না হওয়ায় নতুন জাতীয় স্কেলে বেতন তুলতে পারছেনা সরকারি চাকুরিজীবিরা।জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের ফলাফল জানতে নির্বাচন অফিসে ভিড় লেগেই আছে। প্রতিদিন চট্টগ্রাম নির্বাচন অফিসে শতশত লোকের ভিড় লেগেই আছে। যার বড় অংশ সরকারি চাকুরিজীবি।বেতন তুলতে হলে নির্ভুল জাতীয় পরিচয়পত্র লাগবে। এমন নির্দেশনার পর ভূল সংশোধন করতে দিয়ে এখন অনেকেই ঘুরছেন মাসের পর মাস। ফলে জাতীয় বেতন স্কেলের বেতন তুলতে পারছে না সরকারি চাকুরিজীবিরা।এক চাকুরিজীবি বলেন, ‘জানুয়ারির ৩ তারিখে ভূল সংশোধনের কাগজ জমা দিয়েছি। ১ মাস পরের কথা বললেও তিন মাসে এর পরও এর সমাধান হয় নাই। অতি সহসাই একটা প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যারা আছেন তাদের ভোটার আইডি কার্ড অতি তাড়াতাড়ি সংশোধন করে দেন’।এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘তিন মাস চলে যাচ্ছে আমরা নতুন স্কেলে বেতন পাব না। অনেকের চাকরি শেষে এলপিআরে চলে যাচ্ছে তাদেরগুলিও সংশোধন করা হচ্ছে না’।শুধু সরকারি চাকুরিজীবিরাই নয়, পরিচয়পত্রের ভূল সংশোধন করতে আসা নানা পেশার মানুষও ভুগছেন একই সমস্যায়। তাতে নির্বাচন অফিসের কর্মীদের খারাপ ব্যবহারের অভিযোগও করেন কেউ কেউ।ভুক্তভোগীদের একজন বলেন, ‘আমি জাতীয়পরিচয়পত্রের কারণে কোন চাকরির আবেদন করতে পারতেছি না, সিম নিবন্ধন করতে পারতেছি না। অফিসে প্রয়োজনীয় সেবার অভাব রয়েছে’।গত বছরের অক্টোবর  মাস থেকে নগরীর ৬ টি থানায় ভূল সংশোধনের জন্য আবেদন পড়েছে ২২ হাজারের বেশি। এর মধ্যে সংশোধীত কার্ড পেয়েছেন মাত্র ২ হাজার ৮শ জন। এখন পর্যন্ত ঢাকায় সংশিষ্ট বিভাগে পাঠানোই হয়নি প্রায় ৩ হাজার আবেদন।চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন বলেন, ‘দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা আছেন তাদের যে একেবারে গাফিলতি নেই তা নয়। গাফিলতির চেয়ে জনবলের সংকট আমাদের বেশি ছিল। কিছুদিন পূর্বে আমাদের এখানে কিছু লোক নিয়োগ দেয়া হয়েছে’।নিয়ম অনুযায়ী জাতীয় পরিচয়পত্রের ভুল সংশোধনের ২৫৩ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করতে হয়। আর আবেদনের ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করার কথা রয়েছে।

Share!

About newsfair

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top