Saturday , 28 September 2024
সংবাদ শিরোনাম

নববর্ষ ভাতা শুরু

প্রথমবারের মতো বাংলা নববর্ষ ভাতা পেতে শুরু করেছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। মাসিক নিট পেনশন গ্রহণকারী অবসরভোগী ও আজীবন পারিবারিক পেনশন সুবিধা ভোগকারীরাও এ ভাতা পাচ্ছেন। চাকরিজীবী, অবসরভোগী কিংবা মৃত অবসরভোগীর পরিবার মার্চ মাসের মূল বেতন বা মাসিক পেনশনের ২০ শতাংশ হারে এ ভাতা পাচ্ছেন।বাংলাদেশে এত দিন দুটি উৎসব ভাতার প্রচলন ছিল। মুসলমান চাকরিজীবীরা ঈদে এবং অন্য ধর্মাবলম্বীরা নিজ নিজ ধর্মীয় উৎসবের সময় এসব ভাতা সুবিধা পেতেন। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি ভাতার পরিমাণ এক মাসের মূল বেতনের সমান। ধর্মনির্বিশেষে একসঙ্গে সবাইকে উৎসবের আমেজ দিতে নতুন বেতন কাঠামোতে প্রথমবারের মতো নববর্ষ ভাতা চালু করে সরকার।ফলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, উন্নয়ন প্রকল্প, শিক্ষক ও বিভিন্ন বাহিনীতে কর্মরত প্রায় ২০ লাখ চাকরিজীবী ও পেনশনার এবং পারিবারিক পেনশনাররা প্রথমবারের মতো এ ভাতা উত্তোলন করছেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী কালের কণ্ঠকে জানান, নববর্ষ ভাতা তাঁরা পাওয়া শুরু করেছেন। ইতিমধ্যেই চেক জমা দিয়েছেন কেউ কেউ। তাঁরা বলছেন, ‘নববর্ষে কেনাকাটা করা এখন আমাদের সংস্কৃতিতে রূপ নিয়েছে। সরকার ভাতা চালু করায় এসব ক্ষেত্রে এবার কিছুটা স্বাচ্ছন্দ্য পাওয়া যাবে। তবে সত্যিকার অর্থে বাংলা নববর্ষকে সর্বজনীন রূপ দিতে বেসরকারি খাতে কর্মরতদের জন্যও একই ধরনের ভাতা চালু করা দরকার বলে জানান তাঁরা।চাকরিজীবী, অবসরভোগী ও পারিবারিক পেনশনভোগীরা যাতে পহেলা বৈশাখের আগেই কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়া এ ভাতা পেতে পারেন, সেজন্য গত বুধবার একটি নির্দেশনা জারি করেছে অর্থমন্ত্রণালয়।মন্ত্রণালয়ের বাজেট অনুবিভাগ-১-এর যুগ্ম সচিব মো. হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫-তে বাংলা নববর্ষ ভাতা দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। জাতীয় বেতন স্কেলের আওতাভুক্ত সব কর্মচারী (সামরিক ও বেসামরিক) প্রতি বছর মার্চ মাসে আহরিত মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাংলা নববর্ষ ভাতা পাবেন।আদেশে আরো বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছর থেকে এ ভাতা দেওয়ার জন্য ‘৪৭১৪-বাংলা নববর্ষ ভাতা’ নামে একটি নতুন অর্থনৈতিক কোড খোলা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অনুকূলে এ কোডে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে ‘সংশোধিত বাজেট কর্তৃত্ব’ জারি করতে আরো কিছু সময়ের প্রয়োজন হবে। তাই ১৪ এপ্রিল, ২০১৬ (পহেলা বৈশাখ, ১৪২৩) তারিখের আগেই হিসাবরক্ষণ কার্যালয়গুলোকে নির্দেশনা দেওয়া প্রয়োজন, যাতে তারা নববর্ষ ভাতার বিলগুলো পাস করে, যা পরে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে ‘৪৭১৪-বাংলা নববর্ষ ভাতা’ কোডে প্রদর্শিত হবে।

Share!

About newsfair

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Scroll To Top