রামপুরার বনশ্রীতে ইসরাত জাহান অরুনী (১৪) ও আলভী আমান (৬) নামের দুই ভাইবোনের মৃত্যু খাবারের বিষক্রিয়ায় হয়েছে বলে প্রাথমকিভাবে ধারণা করা হলেও ময়নাতদন্তের রিপোর্টে নতুন রহস্যের জন্ম দিয়েছে। তাদের গলায় আঘাতের চিহ্ন ও চোখে রক্ত জমাট বাধার নমুনা পাওয়া গেছে। এতে ধারণা করা হচ্ছে তাদের শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এখন ভিসেরা রিপোর্ট ও খাদ্যের নমুনা পরীক্ষা করে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন চিকিত্সকরা।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. প্রদীপ কুমার বিশ্বাস বলেছেন, দুইজনের গলায় সামান্য চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া চোখে রক্ত জমাট বাধা অবস্থায় দেখা গেছে। তবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে কি না তা এখনো নিশ্চিত নয়। তিনি বলেন, নিহতদের খাদ্যনালী থেকে কিছু খাবারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ভিসেরা রিপোর্ট ও সংগ্রহ করা খাবারের নমুনার রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। সোমবার রাত আটটার দিকে বনশ্রী আবাসিক এলাকা থেকে অরুনী ও আলভীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিত্সকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
পারিবারিক সূত্র জানায়, বাবা, মা, ইসরাত ও তার ছোট ভাই রবিবার রাতে রামপুরা বনশ্রীর ক্যান্ট চাইনিজ রেস্টুরেন্টে রাতের খাবর খান। এসময় কিছু খাবার বেঁচে যাওয়ায় তা পার্সেল করে বাসায় নিয়ে আসে ইসরাত। সেই খাবার রাতে ফ্রিজে রেখে দেয়া হয়। সোমবার দুপুরে ফ্রিজ থেকে ঐ খাবার বের করে ইসরাত ও আমান খায়। দুপুরে তারা ঘুমিয়ে পড়ে।
সন্ধ্যার দিকে তারা ঘুম থেকে না উঠলে, পরিবারের সদস্যরা ডাকাডাকি করে। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিত্সকরা দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন। সে সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিত্সকরা জানিয়েছিলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, খাবারের বিষক্রিয়ায় শিশু দুইটির মৃত্যু হতে পারে।