এটিএম বুথ জালিয়াত চক্রের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রভাবশালী প্রায় ৫০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান জড়িত বলে তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার (০১ মার্চ) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেরোরিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটি) প্রধান মনিরুল ইসলাম।
এটিএম জালিয়াতির ঘটনায় আটক জার্মান নাগরিক পিটার সেজেফান মাজুরেকসহ ৩ ব্যাংক কর্মকর্তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য বেরিয়ে হয়ে আসে বলে জানান ডিএমপির অতিরিক্ত এ কমিশনার।
মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা নিশ্চিত হয়েছি পিটার জাল পাসপোর্ট ব্যবহার করতো। গত এক বছরে পিটার কোটি কোটি টাকা সর্বাধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে। এসব কাজে দেশের প্রায় ৫০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান জড়িত।
তিনি আরো বলেন, মার্চেন্ট, ব্যাংক কর্মকর্তা, রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী, সঙ্গীত অঙ্গন এবং ব্যাংকারদের বিশাল একটি সিন্ডিকেট আর্ন্তজাতিক চক্রের সঙ্গে যোগসাজশে এটিএম বুথ ছাড়াও পস মেশিনের মাধ্যমে নিয়মিত এ কাজ করে চক্রটি। ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে পস মেশিনে গোপন ক্যামেরা ব্যবহার করে গ্রাহকের টাকা তুলে নেয় চক্রের সহায়তায়।
তবে এ জালিয়াত চক্রের সঙ্গে কোনো পুলিশ সদস্য জড়িত কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, কোনো পুলিশ সদস্য জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
পিটার রিমান্ডে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে জানিয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, তাকে দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে আনা হয়েছে।