কাজ কম হওয়ায় গেলো অর্থবছর পদ্মা সেতুর বাজেট থেকে ফেরত গেছে ২ হাজার কোটি টাকা। চলতি বছরেও ৭ হাজার ৪ কোটির টাকার বাজেট কাটছাট করে নামিয়ে আনা হবে ৫ হাজার কোটিতে। আর আগামী অর্থবছরের বরাদ্দ থাকবে ৭ হাজার কোটি টাকার মতো।
এসব তথ্য জানিয়েছেন, পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম। জানান, ইতিমধ্যে মূল সেতুর কাজ শেষ হয়েছে ১৯ শতাংশ।
মাওয়া ঘাটের এই জায়গা থেকেই শুরু হয়েছে পদ্মার মূল সেতুর কাজ। তাই মূল পাইলিংয়ের কাজও শুরু এখান থেকেই। এরই মধ্যে ৪টি পাইলিং বসানো শেষ হয়েছে। শুধু পানির মধ্যেই বসবে ২৪০টি পাইলিং।
একসাথে বেশ কয়েকটি পাইলিং তৈরি করে পরে সেগুলো বসানোর কাজ চলছে। এসব কাজকে প্রত্যক্ষ কাজ বলেই ধরা হচ্ছে। একই সাথে চলছে মাটি পরীক্ষা। পাইলিংয়ের জন্য ৩৫ লাখ টন স্টিল চলে এসেছে, আসছে পাথর, এমএস রডসহ অনেক কিছু। সরকারের ভাষায়, এতেই মূল সেতুর কাজ এগিয়েছে ১৯ ভাগ।
মূল সেতু ছাড়াও এগিয়ে চলছে, নদী শাসন, জাজিরা ও মাওয়া সংযোগ সড়ক, নদীর দুই পাশে সার্ভিস এরিয়া, জমি অধিগ্রহণ ও দুই পাড়ের পুনর্বাসনের কাজও।
গেল অর্থবছরে কাঙ্ক্ষিত অর্থ খরচ হয়নি। এবারও বাজেট কাটছাট করতে হবে। তবে অর্থায়ন নিয়ে চিন্তার কারন নেই বলে জানান প্রকল্প পরিচালক।
গত ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর এখন পর্যন্ত ৪টি পাইলিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। অথচ আগামী ৩ বছরের মধ্যে বসাতে হবে ২৬৪টি পাইলিং। সময়টি কম মনে হলেও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আন্তরিকভাবে কাজ করলে নির্দিষ্ট সময়েই এ সেতুতে গাড়ি উঠবে।