প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শান্তিরক্ষায় নিয়োজিত আমাদের কোনো সদস্যের অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ ও কর্মকাণ্ড বরদাস্ত করা হবে না। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মিরপুর সেনা নিবাসে ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের (ডিএসসিএসসি) শেখ হাসিনা কমপ্লেক্সে আয়োজিত গ্রাজুয়েট সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা চাইবো দেশের সুনাম যেন অক্ষুণ্ন থাকে। কোনোভাবেই সশস্ত্র বাহিনী যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। এসময় দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যেকোনো ত্যাগ স্বীকারের জন্য প্রস্তুত থাকতে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব (ফিল্ড সাপোর্ট) অ্যান্থনি ব্যানবারি গত জানুয়ারিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে নিরাপত্তায় নিয়োজিত ইউরোপীয় সৈন্য ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে শিশুদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগের কথা তুলে ধরেন; সেখানে বাংলাদেশি সৈন্যদের সংশ্লিষ্টতার কথাও আসে। সে সময় বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, শিশুদের যৌন নিপীড়নের ঘটনায় বাংলাদেশি কারও সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। এতে কারও দোষ পাওয়া গেলে বাংলাদেশ জিরো টলারেন্স থাকবে।
স্টাফ কলেজে ডিএসসিএসসি ২০১৫-১৬ কোর্সের গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জানান, বর্তমানে ১৬টি দেশে জাতিসংঘের শান্তি মিশনের মধ্যে ১১টিতে আট হাজার ৫০১ জন বাংলাদেশি কাজ করছেন। বিভিন্ন দেশের মোট ১ লাখ ২৫ হাজার ৯৭ জন শান্তিরক্ষীর মধ্যে বাংলাদেশির সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। জাতিসংঘের ডিপার্টমেন্ট অফ ফিল্ড সাপোর্ট (ডিএফএস) এর আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল অতুল খের গতবছর ঢাকা সফরে এসে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের কাজের প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশ আর শান্তিরক্ষা এখন সমার্থক।