কোনো রাজনৈতিক দলের হিসাব জানতে আর সেই দলের অনুমতির প্রয়োজন নেই। সম্মতি ছাড়াই তাদের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব যেকোনো নাগরিকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তা প্রকাশ করতে বাধ্য থাকবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ বিষয়ে দায়ের করা এক আবেদনের শুনানি করে বৃহস্পতিবার এমন রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। রিট আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি করে আদালতের জারি করা রুল মঞ্জুর করে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মো.ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
উচ্চ আদালতের এ রায়ের পর এখন থেকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রকাশের ক্ষেত্রে দলগুলোর সম্মতির প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়েছেন এ মামলার একজন আইনজীবী। রিটকারীরা হলেন, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হাফিজ উদ্দিন খান, সাবেক আইজিপি এ এসএম শাহজাহান, বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, অধ্যাপক তোফায়েল আহমদ ও মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সাবেক সচিব আলী ইমাম মজুমদার। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ড. শরীফ ভূইঁয়া ও ব্যারিস্টার তানিম হোসাইন শাওন।
এ বিষয়ে রিটকারী সুজনের সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, আমি রাজনৈতিক দলের দাখিল করা নিরীক্ষিত বার্ষিক আয়-ব্যায়ের হিসাব চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করলে নির্বাচন কমিশন তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্বান্তের বিরুদ্ধে তথ্য কমিশনের দুই দফা আবেদন করলে তথ্য কমিশন ও একই সিদ্বান্ত বহাল রাখে। তিনি আরো বলেন, তথ্য কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট দায়ের করি। রিটের শুনানি শেষে আদালত আজ সংক্ষিপ্ত রায় ঘোষণা করেন। রায়ে তথ্য কমিশনের সিদ্বান্তকে অবৈধ ঘোষণা করেন। ফলে রাজনৈতিক দলগুলোর বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রকাশে রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মতির প্রয়োজন হবে না।