কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিডিআর এর উল্লেখযোগ্য অংশ সশস্ত্র বিদ্রোহ করে। এ বিদ্রোহ ২৪ ফেব্র“য়ারি, ২০০৯ থেকে ২৫ ফেব্র“য়ারি, ২০০৯ পর্যন্ত চলে। এতে বিডিআর জোয়ানদের হাতে বিডিআর এর মহা-পরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। এ ঘটনায় উপরোল্লিখিত ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, শাকিল আহমেদ এর স্ত্রী, ১ জন সেনা সদস্য, কয়েকজন বিডিআর সদস্য ও পথচারীসহ মোট ৭৩ জন নিহত হন। সভায় এমন হৃদয় বিদারক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। শোক সন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা, নিহত ব্যক্তিবর্গের রুহের মাগফিরাত কামনা এবং সরকার কর্তৃক ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসন ও আর্থিক অনুদান প্রদানসহ এ ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবী জানানো হয়।
২০১১ খ্রিঃ ফেব্র“য়ারীতে তিনি ৩০৪ পৃষ্ঠার ‘শেখ মুজিব-বাংলাদেশের স্থপতি’ নামক বইয়ের প্রথম সংস্করণ বের করেন। বইটিতে তিনি ১৭৫৭ খ্রিঃ থেকে ২০১০ খ্রিঃ পর্যন্ত প্রায় ২৫৩ বছর সময়কালের ভারত উপমহাদেশের-বঙ্গদেশের তথা বাংলাদেশের রাজনৈতিক গতিবিধি, অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিবর্তন, বর্তমান বিশ্বের গণতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক ধ্যান-ধারণার প্রতিফলন ঘটান।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ৩০ জুলাই, ২০১১ রোজ শনিবার মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ভাইস চ্যান্সেলর ড. এম. নুরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে “মুক্তিযুদ্ধের বীরগাথা (ইতিহাস) ও প্রজন্মের চেতনা” শীর্ষক এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার আবুল হোসেন আবুকে ১৯৬৯ খ্রিঃ আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে ও ১৯৭১ খ্রিঃ মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য ২টি বিশেষ সম্মাননা পদক প্রদান করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এয়ার ভাইস মার্শাল (অবঃ) এ.কে. খন্দকার, বীরউত্তম, এম.পি, মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার; মুক্তিযুদ্ধের উপ-অধিনায়ক এবং চেয়ারম্যান, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম, মুক্তিযুদ্ধ’ ৭১ কেন্দ্রীয় কমিটি। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্যদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধে এস ফোর্সের অধিনায়ক ও স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশের প্রথম সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল (অবঃ) কে. এম. সফিউল্লাহ, বীরউত্তম, সাব-সেক্টর কমান্ডার ও সাবেক সেনাপ্রধান লেঃ জেনারেল (অবঃ) এম. হারুন-অর-রশীদ, বীরপ্রতীক ও মু্িক্তযোদ্ধা অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ পাটওয়ারী অন্যতম।
২০১১ খ্রিঃ ৩০ ডিসেম্বর, রোজ শুক্রবার বিকেল ৪.৩০ মিঃ ইঞ্জিনিয়ার আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে ‘বেঙ্গল জাতীয় কংগ্রেস’ (বিজেসি) এর উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভি,আই,পি লাউঞ্জে এক জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সাংবাদিক সম্মেলনে ‘বেঙ্গল জাতীয় কংগ্রেস’ (বিজেসি) জাতির উদ্দেশে ৮-দফা কর্মসূচী ঘোষনা করে।
২০১০ খ্রিঃ থেকে ২০১৩ খ্রিঃ পর্যন্ত ৩ বছরে ইঞ্জিনিয়ার আবুল হোসেন আবু বিশ্বশান্তি সন্ধানে (ওহ ছঁবংঃ ড়ভ ডড়ৎষফ চবধপব) নামক একটি বই লিখেছেন। বইটিতে বিশ্বের ৩৩০ জন সর্বশ্রেষ্ঠ প্রভাবশালী মণীষির তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। ৩ খন্ডে পুরো বইটি প্রকাশ করার কথা। বইটির প্রথম খন্ডে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ৫৫ জন মণীষির জীবন বৃত্তান্ত সংক্ষিপ্তাকারে তুলে ধরা হয়েছে। শুধু তাই নয়, বইটিতে ইসলামিক সমাজব্যবস্থার সাম্যনীতির আলোকে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় বিশ্বের সকল রাষ্ট্রে ‘সামাজিক অর্থনীতি’ প্রবর্তনে ‘ঞযবড়ৎু ড়ভ ঊয়ঁধষরংস’ নামে একটি বিশেষ তত্ত্ব সংযোজন করা হয়েছে; যাতে বিশ্বের দরিদ্র ও বুভুক্ষূ মানুষের জীবনমান উন্নত করা যায় এবং বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে “বিশ্বশান্তি সন্ধানে” নামক বইটি বিশ্বের ৩০টি সর্বশ্রেষ্ঠ বইয়ের মধ্যে অন্যতম বলে পরিগণিত হবে। ইতোমধ্যে ২৬ মার্চ, ২০১৩ খ্রিঃ ‘বিশ্বশান্তি সন্ধানে’ বইটির ১ম খন্ড প্রকাশক নওরোজ কিতাবিস্তান এর মাধ্যমে বের করা হয়েছে।
সম্প্রতি তিনি ‘এম. খোরশেদ স্কুল এন্ড কলেজ’ নামক একটি আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
ইতোপূর্বে গবেষণালব্ধ ব্যতিক্রমধর্মী ‘বাংলাদেশের রাজনীতি’ নামক বইটি লেখার জন্য ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর তৎসময়ের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোজাফফর আহমেদ- এর নেতৃত্বে ভাসানী অনুসারী মঞ্চ কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার আবুল হোসেন আবুকে ২৬ ডিসেম্বর, ২০০৮ খ্রিঃ, রোজ শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে ’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
১৯৮৩ খ্রিঃ ইঞ্জিনিয়ার আবুল হোসেন (আবু) জামালপুর কাচারী জামে মসজিদ এর ওজুখানা, মিনার ও ঝর্ণা ডিজাইন করেছিলেন। ঐ সময় কাচারী জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জনাব আবদুল মালেক। কাজের অগ্রগতি সরেজমিনে পরিদর্শন করার সময় জনাব আবদুল মালেক সাহেব হঠাৎ তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, ঝর্ণার পানি বিস্তৃতাকারে যে যন্ত্র/অংশ দিয়ে বের হচ্ছে ঐ যন্ত্রের/অংশের ইংরেজী নাম কি? ঐ অংশের ইংরেজী নাম ইঞ্জিনিয়ার আবুল হোসেন সাহেবের জানা নেই। তাই হঠাৎ তিনি অনুমান করে বলে ফেললেন ঝঢ়ৎরহশষবৎ. দীর্ঘ সময় পর ২০১২ খ্রিঃ উরপঃরড়হধৎু বের করে দেখেন তিনি যে ইংরেজী শব্দটি ১৯৮৩ খ্রিঃ বলেছিলেন তা সঠিক।
১৬ মে, ২০১৪ ‘বেঙ্গল জাতীয় কংগ্রেস’ (বিজেসি) এর পক্ষে ইঞ্জিনিয়ার আবুল হোসেন আবু ভারতের লোকসভা নির্বাচন, ২০১৪ এ জয়ী রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টির মনোনীত প্রধানমন্ত্রী জনাব নরেন্দ্র মোদিকে ভারত এবং পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রসমূহে শান্তি বজায় রাখার লক্ষ্যে সকল ধর্মাবলম্বী মানুষের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব, সম্প্রীতি গড়ে তোলার জন্য আহ্বান জানান, যাতে তাঁর গুজরাটের মূখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ২০০২ খ্রিঃ সংঘটিত ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় একজন মুসলিম সাংসদসহ প্রায় ২০০০ লোকের প্রাণহানি ঘটে, যাদের অধিকাংশই ছিল মুসলিম সম্প্রদায়ের, এমনটি যেন আর না ঘটে।
ইঞ্জিনিয়ার আবুল হোসেন আবু-র নেতৃত্বে ১ নভেম্বর, ২০১৩ রোজ শুক্রবার বিকেল ৪.৩০ মিঃ ‘বেঙ্গল জাতীয় কংগ্রেস’ (বিজেসি) বাংলাদেশ জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনাড়ম্বর সাংবাদিক সম্মেলনে সংশোধিত ৮ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার আবুল হোসেন (আবু) যে সকল কর্মকান্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত করা পছন্দ করেন তন্মধ্যে নামাজ পড়া, সর্বদা সুগন্ধি (খুশবু) ব্যবহার করা, নারী জাতিকে ভালবাসার মাধ্যমে সম্মান করা, দ্বীনের পথে (মসজিদ, মাদ্রাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি) খরচ করা, মানুষকে অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখা, ন্যায়ের পথে মানুষকে ধাবিত করা, সাদাসিধে কাপড়-চোপড় পরিধান করা, ক্ষুধার্তকে অন্ন ও বস্ত্রহীনকে বস্ত্র দেয়া, অসহায় এতিম, বিধবা, দুঃস্থদেরকে সেবা দেয়া, মেহমানদেরকে উত্তম খাদ্য পরিবেশন করা, সর্বোপরি নির্যাতিত, নিপীড়িত ও উপেক্ষিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ করা অন্যতম।
বলা বাহুল্য, ইঞ্জিনিয়ার আবুল হোসেন আবু ১৯৬৯-১৯৭১ খ্রিঃ ৩ বছর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের, ১৯৭২-১৯৭৩ খ্রিঃ প্রায় ২ বছর ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ভাসানী)-র, ১৯৭৩-১৯৭৭ খ্রিঃ ৪ বছর জাসদ ছাত্রলীগের, ১৯৭৭-১৯৭৯ খ্রিঃ ও ১৯৮২-১৯৯২ খ্রিঃ ১৩ বছর জাসদের, ১৯৯৩-২০০৩ খ্রিঃ ১১ বছর গণফোরামের এবং ২০০৩ খ্রিঃ হতে অদ্যাবধি পর্যন্ত প্রায় ১২ বছর বেঙ্গল জাতীয় কংগ্রেস (বিজেসি)-র সাথে সম্পৃক্ত থেকে দীর্ঘ ৪৫ বছর বাংলাদেশের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছেন।
প্রয়োজনীয় মূলধনের অভাবে বর্তমানে তিনি শুধু ‘দি ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালট্যান্টস লিঃ’ [টেক-সেতু গ্রুপ] ব্যাতীত অন্যান্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছেন।
বর্তমানে (২০১৪) মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার আবুল হোসেন আবু “বেঙ্গল জাতীয় কংগ্রেস” (বিজেসি) ও জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ)-র কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডারর্সদের দ্বারা গঠিত সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম, টাংগাইল জেলা কমিটির সভাপতি।