সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদায় (১০ম গ্রেড) বেতন নির্ধারণ জটিলতা অর্থমন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ দেশে এলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গত বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির নেতারা সচিবালয়ে দেখা করতে গেলে অর্থমন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব বিষয়টি জানান।
বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ও মুখপাত্র এসএম ছায়িদ উল্লা বাংলানিউজকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
পরে সমিতির পক্ষ থেকে সিনিয়র অর্থসচিব বরাবর ‘প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড পদমর্যাদা অক্ষুন্ন রেখে ১০ম গ্রেডে বেতন নির্ধারণের দাবি সম্বলিত একটি আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়।
ছায়িদ উল্লা জানান, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ বর্তমানে বিদেশ সফরে রয়েছেন। আগামী সপ্তাহে তার দেশে ফেরার কথা। দেশে ফিরলে জটিলতা নিরসনে উচ্চ পর্যায়ে বৈঠক হবে।
এর আগে, ০৭ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারি সচিব জাজরীন নাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের উন্নীত বেতন স্কেলে জটিলতা নিরসনে অর্থ বিভাগকে চিঠি দেন।
চিঠিটি বর্তমানে অর্থ বিভাগের বাস্তবায়ন অনুবিভাগে রয়েছে। সাধারণত এ ধরনের বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়ে থাকে।
ছায়িদ বলেন, অতিরিক্ত সচিব জানিয়েছেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আগের পত্র ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পত্র যেভাবে নিষ্পত্তি হয়েছে, ০৭ ফেব্রুয়ারির পত্রও একইভাবে নিষ্পত্তি হবে।
‘অতিরিক্ত সচিব আশ্বাস দিয়েছেন, গেজেটেড পদমর্যাদা অক্ষুন্ন রেখে ০৭ ফেব্রুয়ারির পত্রের বিষয়বস্তু ও অন্য উদাহরণ যাচাই-বাছাই করে সুবিবেচনা সাপেক্ষে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’