রাজধানীর শান্তিনগরের বহুতল ভবন টুইন টাওয়ার্স কনকর্ড শপিং কমপ্লেক্স ভবনে গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে ভয়াবহ আগুন লাগে। ২১ তলা ভবনটির নিচের কয়েকটি তলায় মার্কেট ও ওপরে আবাসিক ফ্ল্যাট রয়েছে। রাত ১টায় আগুন লাগে। অনেক মানুষ আটকা পড়লেও তাৎক্ষণিক হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভবনের ১০ তলা থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। রাতে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছিল। সংশ্লিষ্টরা তখন জানান, ভবনটির ভেতরে বেশ কিছু মানুষ আটকা পড়েছে। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছিল।ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা ভজন কুমার সরকার কালের কণ্ঠকে জানান, রাত ১টার দিকে টুইন টাওয়ার্সের ১০ তলার একটি বাসা থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। পরে দ্রুত তা ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মাসুদুর রহমান আখন্দ ও উপপরিচালক মোজাম্মেল হক উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব দেন। ওই দুই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ভজন কুমার সরকার রাত ২টায় কালের কণ্ঠ বলেন, ‘ভবনটিতে বেশ কিছু মানুষ আটকা পড়েছে। উঁচু মই ব্যবহার করে তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হয়। আগুন এখনো পুরোপুরি নেভেনি। এ মূহূর্তে বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না।’ পল্টন মডেল থানার ওসি মোর্শেদ আলম বলেন, ‘রাত ১টার পর ভবনটিতে আগুন লাগে। ভবনটির নিচের কয়েকটি তলায় মার্কেট রয়েছে, ওপরে আবাসিক ফ্ল্যাট। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাজ করছে। এর বেশি কিছু জানা যায়নি।’পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান, আগুন লাগার এক ঘন্টা পর (২টার দিকে) ১০ তলা থেকে আগুনের শিখা আর দেখা যায়নি। তবে ভবনটি থেকে তখনো ধোঁয়া বের হচ্ছিল। ওপরের দিকে আটকা পড়া লোকজন হাত নেড়ে, টর্চ জ্বালিয়ে এবং জানালার কাঁচ ভেঙে উদ্ধারের আবেদন জানাচ্ছিল। সোয়া ২টা পর্যন্ত কয়েকটি তলা থেকে চার-পাঁচজনকে উদ্ধার করে নামিয়ে আনেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। উদ্ধার পাওয়া দুই নারী দাবি করেন, কমপক্ষে ৫০-৬০ জন আটকা পড়েছে। তাঁরা সিঁড়িতে ও ছাদের ফটকের তালা ভেঙ্গে ছাদে উঠে আশ্রয় নিয়েছেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের ধারণা, আগুন ১০ তলার মধ্যেই নিয়ন্ত্রণ করে রেখেছেন তারা। এতে বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটবে না বলেও আশা করছেন তাঁরা
মধ্যরাতে আগুন টুইন টাওয়ার্সে
Share!