ঢাকার দেড় কোটি মানুষের জন্য দৈনিক যে পরিমাণ পানি লাগে তার দ্বিগুণ ব্যবহার করে রাজধানী ও তার আশেপাশের বস্ত্র কারখানাগুলো।
প্রতি কেজি কাপড় প্রক্রিয়াজাত করতে শ্রেষ্ঠ মানদন্ড যেখানে ৬০ লিটার সেখানে বাংলাদেশের কারখানাগুলো ব্যবহার করে গড়ে ৩ শ লিটার। এমন অবস্থায় অপচয় কমানো না গেলে ২০২১ সাল নাগাদ রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে হুমকির মুখে পড়তে পারে জনজীবন।
আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন টেকসই উন্নয়নের স্বার্থেই এই অপচয় কমানো দরকার। বুড়িগঙ্গার মতই মৃতপ্রায় এমন ৪টি নদী ঘিরে রেখেছে ঢাকাকে। সুপেয় পানির জন্য রাজধানীবাসীর বড় ভরসা তাই ভুগর্ভস্থ জল। বিশ্বব্যাংকের হিসাবে ব্যবহারের কারনে প্রতিবছরই ঢাকার যে জলের স্তর নেমে যাচ্ছে ২ থেকে ৩ মিটার করে।
তার খোজে তাই মাটির নিচে ওয়াসার অনুসন্ধানও গভীর থেকে গভীরতর হয়। যার সবচেয়ে বড় কারন দেশের টেক্সটাইল কারখানাগুলো। আশ্চর্য হলেও সত্যি আইএফসি ও ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের সহযোগীতায় গঠিত ওয়াটার রিসোর্স গ্রুপের তথ্যে দেখা যায়, এই শহরের দেড় কোটি মানুষের জন্যে যতটুকু পানি দরকার হয়, তার দ্বিগুণ ব্যবহার করে ঢাকা ও তার আশেপাশের টেক্সটাইল কারখানাগুলো।
প্রতিকেজি কাপড় প্রক্রিয়াজাত করতে ৩ ধাপে বাংলাদেশে খরচ হয় গড়ে আড়াইশ থেকে ৩ শ লিটার পানি। বিশ্ব মানদন্ডের চেয়ে অনেক ক্ষেত্রেই যা প্রায় ৩ গুণ বেশী আর সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে চললে পানির যেই খরচ নামিয়ে আনা সম্ভব ৬০ লিটারে। এদিকে ২০২১ সালে এখনকার রপ্তানি আয়কেই প্রায় দ্বিগুণ করতে চায় দেশের তৈরী পোশাক খাত। সহজ ঐকিক নিয়মে তার মানে দ্বিগুণ পানির ব্যবহার।
তাহলে এখনই পানির জন্যে হাহাকার করতে থাকা ঢাকার ছবিটা তখন কেমন হবে? বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, টেক্সটাইল কারখানা পরিবেষ্টিত ঢাকা ও তার আশেপাশের ১০টি এলাকাতেই সবচেয়ে বেশী পানি দূষন হয়।