সুন্দরবনের অপার সৌন্দর্য আর থ্রিল উপভোগ করতে, প্রতিনিয়তই সেখানে জড়ো হন দেশি-বিদেশি পর্যটকরা। কিন্তু অনেক সময়ই ভ্রমণ নীতিমালা না মানার অভিযোগ ওঠে, পর্যটক আর ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে।
ফলে হুমকিতে পড়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ম্যানগ্রোভ বন। আবার নানা অব্যবস্থাপনায় দুর্ভোগেও পড়তে হয় পর্যটকদের। যদিও বনবিভাগের দাবি, আইন বাস্তবায়নে সচেষ্ট তারা। এমন বাস্তবতায় আজ পালিত হচ্ছে, সুন্দরবন দিবস।
সুন্দরবন। ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য। বাঘ-হরিণের এই বনের পরতে পরতে বিস্ময় আর অপার সৌন্দর্যের হাতছানি।
যদিও বনের ভেতরে দিয়ে বয়ে যাওয়া এই নদীর বেহাল দশাই বলে দেয়, কতটা অবহেলায় রয়েছে মায়াবিনী এই বন। পলিথিন আর খাবারের উচ্ছিষ্ট ছড়িয়ে যাচ্ছে বনের আনাচে-কানাচে। বনের মধ্যে হৈ-হুল্লোড় আর আলোকসজ্জা তো আছেই। রয়েছে পিকনিকে আসা মানুষের উচ্চস্বরে গানের আওয়াজ।
ম্যানগ্রোভ বনের সৌন্দর্য দেখতে এখানে প্রতিদিনই আসেন অসংখ্য দেশি-বিদেশি পর্যটক। কিন্তু বিভিন্ন ট্যুর অপারেটরের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নীতিমালা না মানার অভিযোগ ওঠে প্রায়শই। বিশেষ করে রুট পারমিটবিহীন ও জরাজীর্ণ লঞ্চে, অতিরিক্ত যাত্রী বহনেরও অভিযোগ রয়েছে।
তবে পর্যটকদের সুযোগ সুবিধা বাড়ানো আর নীতিমালা বাস্তবায়নে বনবিভাগ সচেষ্ট বলে জানান এক কর্মকর্তা।
নানা সংকটের পরও সুন্দরবনের পর্যটনে বাড়ছে রাজস্ব আয়। তবে শুধু রাজস্ব আয় নয়; সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সুরক্ষার বিষয়টিই হওয়া উচিত প্রধান বিবেচ্য।