চট্টগ্রামে অপরাধীদের এবার নজর ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায়। বিভিন্ন বাসাবাড়িতে লাগানো কয়েকটি ক্যামেরা এরইমধ্যে খুলে নিয়ে গেছে তারা। আবার খুলে নিয়ে যাওয়ার সেই দৃশ্য সংরক্ষণ হয়ে যাওয়ায় ধরাও পড়েছে কয়েকজন।
এদিকে, পুলিশের লাগানো ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাগুলোও এখন ঝুঁকির মুখে। সিটি করপোরেশনের বিলবোর্ড উচ্ছেদ অভিযানের কারণে, এরইমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে অর্ধেক ক্যামেরা।
গেলো ২ ফেব্রুয়ারী রাতে চট্টগ্রামের ফিরিঙ্গিবাজারে দিদারুল আলমের ভবনে উঠে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা খুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। একইভাবে চুরি হয় পাথরঘাটা আর সি চার্চ একটি বহুতল ভবনে স্থাপিত ক্যামেরাও।
তবে চুরির আগে ক্যামেরায় রয়ে যায় চোরের চেহারা। ফলে ছবি দেখে আলী আজগর এবং সিরাজুল মোস্তফা পারভেজ নামে দু’ জনকে আটক করে পুলিশ।
ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা চুরির দুটি ঘটনাই ঘটে কোতোয়ালী থানা এলাকায়। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বসতবাড়িতে লাগানো ক্যামেরাগুলোই এখন টার্গেটে পরিণত হয়েছে অপরাধীদের। তাই এসব ক্যামেরা ঘিরে নজরদারি বাড়ানোর কথা বলছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
শুধু চুরিই নয়, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের স্থাপন করা ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাগুলোও অকার্যকর হয়ে পড়ছে। সিটি কর্পোরেশনের বিলবোর্ড উচ্ছেদ অভিযানে কাটা পড়েছে সংযোগ। তাই ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে ৪৭টি ক্যামেরা।
২০১৪ সালে নগরীর ২৬ টি গুরুত্বপূর্ণ স্পটে ৯৯ টি ক্যামেরা স্থাপন করে সিএমপি। যা ব্যাপক কাজ দেয় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে।