বাংলাদেশে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের সংখ্যা নির্ণয়ে প্রথমবারের মতো করা হচ্ছে শুমারী।
আগামী মাসে যার মূল কাজ শুরুর কথা থাকলেও ছয়টি জেলায় পরিবারভিত্তিক তালিকা তৈরি শুরু হচ্ছে কাল থেকে। এরইমধ্যে শেষ হয়েছে প্রস্তুতি।
পুরো কাজ শেষ হলে সব রোহিঙ্গাকে পরিচয়পত্র দেয়ার কথা বলছে, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা-আইওএম। শুমারীর উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছে, রোহিঙ্গারাও। অবৈধভাবে আসা রোহিঙ্গায় যেন এখন ঠাসাঠাসি বৃহত্তর চট্টগ্রাম। সরকারি খাতায় এখন কক্সবাজারের দুটি ক্যাম্পে বৈধ রোহিঙ্গার সংখ্যা ৩৩ হাজার। তবে এরবাইরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ৫ লাখের বেশি বলে ধারণা করা হলেও বাস্তবে সঠিক কোন পরিসংখ্যান নেই কারো কাছে।
তাই এই রোহিঙ্গা শুমারীর উদ্যোগ। ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাঠপর্যায়ে পরিবারভিত্তিক তালিকা তৈরির পর, মূল শুমারী হবে আগামীমাসের শেষ সপ্তাহে। এই কার্যক্রম শুরুর আগে রোহিঙ্গা বসতিতে চালানো হয়েছে প্রচারণা। যেন সঠিক তথ্য পাওয়া যায় সেজন্য তাদের ধারণা দেয়া হয়েছে শুমারী সম্পর্কে। এটাকে ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছে রোহিঙ্গারাও। তিন ক্যাটাগরিতে এই শুমারী হবে।
যাতে সহায়তা দিচ্ছে, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা-আইওএম। এই কার্যক্রম শেষে বাংলাদেশে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের পরিচয়পত্র দেয়ার কথাও বলছে সংস্থাটি। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ছাড়াও এই শুমারী হবে তিন পার্বত্য জেলা এবং পটুয়াখালিতে। এতে খরচ হচ্ছে ২১ কোটি টাকা।