শিক্ষাকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে বর্তমান সরকার এ কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সবাই যাতে উচ্চশিক্ষা লাভ করতে পারে, সে জন্য প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হবে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের মদন মোহন কলেজের হীরকজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। শিক্ষা বিস্তারে সরকারের নানা পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি উপজেলায় সরকারি কলেজ ও স্কুল গড়ে তোলা হবে। তিনি বলেন, প্রত্যেক বিভাগীয় শহরে মেডিক্যাল কলেজ গড়ে তোলা হবে। এ সময় কারিগরি শিক্ষার ওপরও জোর দেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে হেলিকপ্টারযোগে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখান থেকে বেলা ১২টা ২০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজারে প্রবেশ করেন। সেখানে জিয়ারত শেষে তিনি হযরত শাহপরাণ (রহ.) মাজারের উদ্দেশে যাত্রা করেন। মাজার গেটে দলীয় নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। মাজার জিয়ারত শেষে প্রধানমন্ত্রী মদন মোহন কলেজের ৭৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। এর পর সিলেট সার্কিট হাউসে নামাজ ও মধ্যাহ্নভোজ সেরে বেলা আড়াইটার দিকে সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী জনসভাস্থল থেকে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া আইআইসিটি ভবন, আবুল মাল আবদুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্স, সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালকে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট শিশু হাসপাতালে রূপান্তর, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ভবন, জৈন্তাপুর উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, এপিবিএন-এর ব্যারাক ভবন, ওসমানীনগর থানা ভবন, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য নির্মিত হোস্টেল ভবন, নগরীর মাছিমপুর এলাকার সুরমা নদীর তীরে নির্মিত ওয়াকওয়ে, এমসি কলেজের মাঠের সীমানা প্রাচীর ও গেট উদ্বোধন করবেন।