পাকিস্তানে ফেরত ১৯৫ যুদ্ধবন্দির মানবতাবিরোধী অপরাধের তথ্য সংগ্রহের জন্য গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি।
এই কমিটি এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে। সকালে তদন্ত সংস্থা কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান, সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান। তিনি আরো বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য বিভাগীয় পর্যায়ে সাতটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা উচিত।
১৯৭৪ সালে ৯ এপ্রিল ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সই হয়, ঐতিহাসিক দিল্লী চুক্তি।
এই চুক্তির ১৩ নম্বর ধারায় বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধের সাথে জড়িত ১৯৫ যুদ্ধবন্দির বিচার করবে পাকিস্তান। তবে, এই চুক্তি এখনও অনুসমর্থন করেনি, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধে এরইমধ্যে শীর্ষ কয়েকজন যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। চলছে, বাকিদের বিচার। এমন প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের সেই ১৯৫ যুদ্ধবন্দির অপরাধের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে, তদন্ত সংস্থ। গঠন করা হয়েছে, ৫ সদস্যের একটি কমিটি।
সট:
তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক জানালেন, ২২টি মামলায় ৬৭ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত কাজ চলছে। আর এ সব মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিতে, ৭ বিভাগে গঠন করা উচিত, আলাদা ট্রাইব্যুনাল।
মৌলভীবাজারের জামায়াত নেতা সামছুল হোসেন-সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে ৬টি অভিযোগেপ্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে, তদন্ত সংস্থা।