চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে রপ্তানি হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৬শ’ ৯ কোটি মার্কিন ডলার। এ সময় রপ্তানিখাত ছিল অনেকটাই পোশাক শিল্প নির্ভর। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাঁচামালের দাম কমে যাওয়ায় অর্থবছরের প্রথম ধাপে বেড়েছে আমদানির পরিমাণ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, কাঁচামালের কম দামের সুবিধা নিয়ে রপ্তানি বাড়ানোর এ সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলে কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জন কঠিন হবে।
গত অর্থবছরের রপ্তানি মন্দা মাথায় রেখে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৩ হাজার ৩শ’ ৫০ কোটি মার্কিন ডলার রপ্তানি লক্ষ্য নির্ধারণ করে সরকার।
অর্থবছরের প্রথম দিকে, পোশাকখাতের রপ্তানি নেতিবাচক হওয়ায় শঙ্কা সৃষ্টি হয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে। তবে নভেম্বর ও ডিসেম্বরে ঘুরে দাঁড়ায় রপ্তানি পরিস্থিতি। কিন্তু এ সময় পোশাকখাত ছাড়া অন্যান্য খাতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি খুব একটা বাড়েনি।
অর্থনীতিবিদ ড. গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘রপ্তানি প্রবৃদ্ধি দ্রুত গতিতে না বাড়লে আগামী পাঁচ বছরে ৫০ বিলিয়ন ডলারের মত বড় রপ্তানি লক্ষ্য অর্জন কঠিন হবে।’
পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম কমে যাওয়ায়, বর্তমানে দেশের আমদানি পরিস্থিতিও বেশ ভালো বলে মনে করেন ব্যাংকার ও অর্থনীতি বিশ্লেষক মামুন রশিদ। তবে সস্তায় কাঁচামাল আমদানির পরও কেবল জ্বালানি সঙ্কট এবং অভ্যন্তরীণ কারণেই রপ্তানিতে তার প্রভাব পড়ছে না বলেও মনে করেন তিনি।
৭ শতাংশ বা তার বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জনে রপ্তানিমুখী শিল্পে নতুন নতুন বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি, রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ এবং নতুন বাজার সৃষ্টিতে সরকারকে আরও মনযোগী হতে পরামর্শ দিলেন বিশ্লেষকরা।