রংপুর ২(বদরগঞ্জ) প্রতিনিধি॥
রংপুর জেলার অধীনস্থ বদরগঞ্জ উপজেলায় ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ৩৫টি ইট পোড়ানোর ভাটার খবর পাওয়া গেছে, স্থানীয় তথ্য সূত্র ও বিভিন্ন তথ্য মাধ্যম থেকে জানা যায়,ভাটাগুলো প্রাথমিক কাজ সম্পাদন করে বীর দর্পে ইট কাটার কাজ শুরু করেছে। কারণ সামনে তাদের ব্যবসায়ীক সিজেন। পূর্ববর্তি বছর গুলো খতিয়ে দেখলে দেখা যায় জানয়ারীর মাসের শেষের দিকেই ইট পোড়ানোর কাজ শুরু হয়। আর আটভাটার ধোয়া পরিবেশের জন্য কতটুকু ক্ষতিকর সেটা বদরগঞ্জ তথা দেশের আপাময় জনতা পরিস্কার জানেন। বিগত বছর গুলোতে ইটভাটার ধোয়ায় থাকা কার্বন মনো অক্সসাইড এর কারণে ইতি মধ্যেই এ অঞ্চলে রবি শষ্যের আবাদ অতিতের তুলনায় ৩ ভাগের একভাগে নেমে এসেছে বলে জানান, মধুপুর ইউনিয়নের চাষী শ্রী ভবানী চন্দ্র রায়। আমরা আপাতত কার্বন মনো অক্সসাইডের বিষাক্ততা নিয়ে আলোচনা করতে চাইনা । কারণ প্রায় প্রতিটি মানুষই ইটভাটার ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জানে। তবে ধোয়া নিয়ে অনেকেরই ভিন্ন ধারণা বা মতামত আছে। বিঞ্জানের ভাষায় কোন দাহ্য পদার্থ পোড়ালে তা থেকে ধোয়া নির্গত হবেই। সেটা মানুষের চোখ দিয়ে দেখা নাও যেতে পারে। কিন্তু সে ধোয়াতে ও বিষাক্ত কার্বন মনো অক্সাইড বিদ্যমান। এ ব্যাপারে মেডিসিন অভিজ্ঞ ডাঃ মোঃ সাদিকুর রহমান (ট্রেইনড ইন সিসিডি এন্ড আইসিইও ম্যানেজমেন্ড) আলাপকালে জানান মানব দেহে ০.০৩% কার্বন মনো অক্সাইডের অস্তিত্ব বিদ্যামান থাকে। কোন কারণে যদি এর মাত্রা বেশী হয়ে যায় সেটা মানব জীবনকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। অনেক জ্ঞানী গুনি ব্যক্তিরা ইটভাটায় কর্মরত মানুসগুলোর পারবারের ভরন পোষনের কথা বলেন। সেক্ষেত্রে জানা দরকার জীবনের চেয়ে দামী তথা মূল্যবান পৃথিবীতে আর কিছু নেই। জীবনে যদি না থাকে তবে ভাটায় কর্মরত সেই সব পরিবার গুলোর ভরন পোষন আসবে কোথা থেকে? তাই বদরগঞ্জের সুশিল সমাজ ও আপাময় জনগনের দাবী সরকার অতি তাড়াতাড়ি এই হায়নার(ইটভাটা) প্রতিকারের বিশেষ ব্যবস্থা নিবেন।