বাণিজ্য মেলায় কেবল বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানই নয়, ৩১ একরের এই প্রাঙ্গনে আছে বেশ কিছু সেবামূলক প্রতিষ্ঠানও। যার একটি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের স্টল।
উদ্দেশ্য-মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনামূলক প্রচার প্রচারনা।
এছাড়া, মুক্তিযদ্ধের সঠিক ইতিহাস তরুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ নামে একটি প্যাভিলিয়নও আছে মেলায়। মেলায় যারা আসছেন, সাধুবাদ জানাচ্ছেন এই উদ্যোগকে।
দেয়াল জুড়ে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু। ঘুরে ঘুরে একমনে, এই ছবিগুলোই দেখছিলেন পঞ্চাশ বছর বয়সী শামীমা হাসান। নিবিষ্ট দুই চোখে ছিলো ভিষণ একাগ্রতা। বললেন- যুদ্ধের সময়ই হারিয়েছেন তিন বোনকে, প্রাণে বেঁচেছেন নিজে। বাণিজ্য মেলার এই প্যাভিলিয়নে এসে, কিছুটা পুরোনো স্মৃতিতেই যেনো ফিরে গেলেন তিনি।
মেলায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানই বেশি। এর মাঝে, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়নটি একেবারেই অন্যরকম। দেয়াল জুড়ে আছে ১শ ৪৭টি ছবি। আছে, বড় প্রজেক্টরে যুদ্ধের ইতিহাসভিত্তিক দলিলপত্র প্রদর্শনের ব্যবস্থাও। যারা মেলায় আসছেন, সময় করে ভীড় করছেন এখানেও।
এবার প্রথমবারের মতো স্টল নিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরও। বলছেন- তরুন প্রজন্মকে মাদক থেকে দুরে রাখার প্রত্যয়ে সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি, প্রচার প্রচারনাই মূল উদ্দেশ্য।
যারা আসছেন, এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন তারাও। বলছেন- বাণিজ্য মেলার মতো মুখরিত প্রাঙ্গনে, এই প্রচারনা সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
আগতদের অভিমত- বাণিজ্য মেলায় যেনো প্রতিবারই থাকে, এমন সব সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ।