রাজধানীর অদূর টঙ্গীতে ৮ জানুয়ারি থেকে অনুষ্ঠিতব্য দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের যাতায়াতে ২৮টি বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এ ছাড়া সকল আন্তঃনগর, মেইল এক্সপ্রেস ও লোকাল ট্রেনে অতিরিক্ত ২০টি কোচ সংযোজন করা হবে। সব মিলিয়ে বিশ্ব ইজতেমায় বিশেষ ট্রেন সার্ভিসের মাধ্যমে দেড় লাখ অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হবে। রাজধানীর রেল ভবনে আজ মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১১টায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা জানান রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক। আগামী ৮-১০ জানুয়ারি প্রথম পর্ব এবং ১৫-১৭ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।
রেলপথমন্ত্রী বলেন, দুই পর্বের ইজতেমার প্রথম পর্বের শুরুর দিন শুক্রবার ঢাকা-টঙ্গী-ঢাকা দু’টি ‘জুম্মা স্পেশাল, আখেরী মোনাজাতের আগের দু’দিন জামালপুর ও আখাউড়া থেকে দুটি করে চারটি অতিরিক্ত ট্রেন পরিচালনা করা হবে। আখেরী মোনাজাতের আগের দিন লাকসাম-টঙ্গী একটি, আখেরী মোনাজাতের দিন ঢাকা-টঙ্গী-ঢাকা ৭টি, টঙ্গী-ঢাকা ৭টি, টঙ্গী-লাকসাম একটি, টঙ্গী-আখাউড়া দুটি, টঙ্গী-ময়মনসিংহ চারটি, মোট ২১টি আখেরী মোনাজাত স্পেশাল ট্রেন চালু থাকবে।
রেলপথমন্ত্রী বলেন, ৩৮টি মেইল এক্সপ্রেস কমিউটার ও লোকাল ট্রেনের টঙ্গী স্টেশনে বিরতি রয়েছে। আখেরী মোনাজাতের আগের ৫ দিন ঢাকা অভিমুখী সকল আন্তঃনগর ট্রেন (২৯টি) ২ মিনিট করে থামবে। আখেরী মোনাজাতের দিন ৫৮টি আন্তঃনগর ট্রেন ও আখেরী মোনাজাতের পরদিন ১৫টি আন্তঃনগর ট্রেনের ২ মিনিটের বিরতি থাকবে। মুজিবুল হক বলেন, বিশ্ব ইজতেমার জন্য ১০ ও ১৭ জানুয়ারি ৭২১/৭২২ মহানগর প্রভাতী/গোধুলী, ১১ ও ১৮ জানুয়ারি ৭০৭/৭০৮ তিস্তা এক্সপ্রেস এবং ৮ ও ১৫ জানুয়ারি ৭০১/৭০২ সূবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনগুলো সাপ্তাহিক বন্ধের দিনও চলাচল করবে।
অন্যদিকে বিশেষ ট্রেন পরিচালনার সুবিধার্থে সূবর্ণ এক্সপ্রেস, তিস্তা এক্সপ্রেস, কালনী এক্সপ্রেস, মহুয়া এক্সপ্রেস, তুরাগ এক্সপ্রেস, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ কমিউটার, ঢাকা-টঙ্গী কমিউটার, ঢাকা-জয়দেবপুর কমিউটার, ঢাকা-কুমিল্লা কমিউটার আখেরী মোনাজাতের দিন বন্ধ থাকবে। বিশ্ব ইজতেমায় আগত যাত্রীদের সুবিধার্থে ঢাকা স্টেশনে ৭০টি ও টঙ্গী স্টেশনে ৫০টি কাউন্টার থেকে টিকেট বিক্রয় করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী। সংবাদ সম্মেলনে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নিখিল রঞ্জন রায়, বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মো. হাবিবুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।