২০১৫ সালকে বলা যায় সাংস্কৃতিক উৎসবের বছর। পুরনো সব অনুষ্ঠান যেমন নিয়ম মেনে হয়েছে। তেমনি ডজনের বেশি ছিলো নতুন উৎসব। যাতে কয়েকটির আয়োজনেও ছিলো বৈচিত্র্য।
রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক সঙ্কটের ভেতরে এমন সাফল্যকে সংস্কৃতিমন্ত্রী বলছেন, অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করার সংস্কৃতির বহিঃপ্রকাশ। ২০১৫ সালের শুরুটা হয়েছিলো, রাজনৈতিক অস্থিরতা দিয়ে। পরে তা কেটে গেলেও বেশ নেতিবাচক প্রভাব পড়ে অর্থনীতিতে।
রাজনীতি-অর্থনীতির এই সঙ্কটের মাঝেও বছরজুড়েই বেশ সরব ছিলো সাংস্কৃতিক অঙ্গন। বলা হচ্ছে, অন্যান্য বছরের তুলনায় ২০১৫ সালে অনেক বেশি সাংস্কৃতিক উৎসব হয়েছে দেশে। বেঙ্গল উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত, লিড ফেষ্ট তো ছিলোই, প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয় ফোক ফেষ্ট, জাজ ফেষ্ট, নৃত্যনাট্য-সহ ছোট-বড় অন্তত ১৫টি উৎসব। সবশেষ শিল্পকলা একাডেমীর আয়োজনে ১০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব।
যা দেশের ৬৪ জেলায় একযোগে চলেছে। সংস্কৃতিমন্ত্রী বলছেন, এদেশের মানুষের অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করার সংস্কৃতির ফসল এটি। নানা প্রতিকূলতা পেরিয়েই এ সব উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৫ সালে শিল্পকলা একাডেমিতে প্রতিষ্ঠিত হয় আবৃত্তি বিভাগ। যার তত্ত্বাবধানে অঞ্চল ভিত্তিক আবৃত্তি উৎসব ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে অংশ নেয় সারা দেশের ৩শ’ সংগঠন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুধু উৎসব আয়োজনই নয় গুণগত মানেও অন্যান্য বছরের তুলনায় ভিন্নতা আনার চেষ্টা ছিলো ২০১৫ সালে।