প্রান্তিক পর্যায়ে শিক্ষা নিশ্চিত হলেই দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উন্নত দেশ গড়তে তাই কাউকেই অবহেলা করা যাবে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। আজ রবিবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীভুক্ত মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান বক্তৃতা করছিলেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট। শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি দারিদ্র্যমুক্ত হতে পারে না, সেজন্য আওয়ামী লীগ বরাবরই ক্ষমতায় এসে শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। শিক্ষার উন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন দেশে স্বাক্ষরতার হার ছিল ৪৫ শতাংশ। আওয়ামী লীগ সে হার বাড়িয়ে ৬২ দশমিক ৫ এ উন্নীত করেছে। এজন্য ইউনেস্কো বাংলাদেশকে পুরস্কারও দিয়েছে। প্রান্তিক পর্যায়ে শিক্ষা নিশ্চিত হলেই দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেজন্য সরকার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ সবার উন্নয়নে কাজ করছে। প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করে দেশকে এগিয়ে নেওয়া হবে। উন্নত দেশ গড়তে হলে কাউকে অবহেলা করা যাবে না।
পার্বত্য শান্তি চুক্তির ৮০ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের দুর্গম এলাকা পাহাড়ি জনপদে শিক্ষার উন্নয়ন করতে সেখানে আবাসিক স্কুল হবে। এছাড়া কোন এলাকার, কোন পয়েন্টে স্কুল করলে সেসব এলাকার শিশুরা পড়তে পারবে, সে বিবেচনায় আরও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, পাহাড়ে আবাসিক স্কুল করতে হবে যেন বাচ্চাদের হেঁটে হেঁটে অনেক দূরের পথ যেতে না হয়। এছাড়া সমতল ভূমির ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী যারা আছেন, তাদের উন্নয়ন করা দরকার। পাশাপাশি উত্তরের বিভিন্ন অঞ্চলে এবং সিলেটেও রয়েছেন নৃ-গোষ্ঠী, উন্নয়ন তাদেরও হবে। সমাজে সব শ্রেণির মানুষের জন্যই চাই উন্নয়ন, উন্নত জীবন।
প্রধনমন্ত্রী বলেন, হিজড়া সম্প্রদায়কে আমরা স্বীকৃতি দিয়েছি। এছাড়া হরিজনও রয়েছেন। বাংলাদেশ সবার। সব ধর্মের জন্য এই দেশ। সবার ধর্ম পালনের অধিকার রয়েছে। সমাজে প্রতিটি শ্রেণির মানুষের জন্য উন্নত জীবনই আমাদের লক্ষ্য, সে জন্য সবার দিকেই দৃষ্টি দিচ্ছি আমরা।
কমিউনিটি ক্লিনিকে হচ্ছে সুস্বাস্থ্য সেবা। শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছেন সমাজের প্রতিটি জনগোষ্ঠীর মানুষ। আসলে শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি দারিদ্র্যমুক্ত হতে পারে না। সেজন্য আমরা শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিই। বক্তব্যের আগে, প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন জেলা থেকে আগত মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে শিক্ষাবৃত্তি পত্র তুলে দেন।