বগুড়ায় ষাটের দশকে গড়ে ওঠা ফাউন্ড্রি বা ঢালাই শিল্পের ব্যাপক প্রসার ঘটলেও এখনও আধুনিকায়নের ছোঁয়া লাগেনি। সনাতনী উৎপাদন ব্যবস্থার কারণে এই শিল্পে উৎপাদিত পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
ফলে অনেক চাহিদা থাকার পরও রপ্তানিমুখি হতে পারছে না শিল্পটি। উদ্যোক্তারা বলছেন, আধুনিকায়ণ করা গেলে ফাউন্ড্রি শিল্প রপ্তানী গার্মেন্ট শিল্পকেও ছাড়িয়ে যাবে। জাহাজ ভাঙ্গা লোহা আগুনে গলিয়ে এভাবেই ছাঁচে ফেলে তৈরী করা হয় নানা যন্ত্রাংশ। বগুড়ার ঢালাই শিল্প কারখানায় সরিষার ঘানি,বাটখারা ও রান্নার কড়াইসহ হাতেগোনা কিছু পন্য তৈরী হতো।
ধীরে ধীরে এই শিল্পের প্রসার ঘটায় বাড়তে থাকে কারখানার সংখ্যাও। ফলে তৈরী হয় কর্মসংস্থানের সুযোগ। বর্তমানে এসব কারখানায় কৃষি কাজসহ বিভিন্ন মিলে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ তৈরী হয়। তবে যারা এসব জটিল যন্ত্রাংশ তৈরি করছে, সেই শ্রমিকদের নেই কোন প্রাতিষ্ঠানিক ও কারিগরী শিক্ষা।
ফলে উৎপাদন ব্যবস্থায় থেকে যাচ্ছে, ঝুকি। উদ্যেক্তারা বলছেন, বাংলাদেশে কৃষি যন্ত্রাংশের প্রায় ৮০ ভাগই যোগান দিচ্ছে বগুড়ার এই শিল্প। তবে, উৎপাদন ব্যবস্থার আধুনিকায়ন না হওয়ায় পণ্যের মানও নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হচ্ছে না। সরকারি সহায়তা পেলে রপ্তানীতে গার্মেন্ট শিল্পকেও ছাড়িয়ে যাবে ঢালাই শিল্প।
এমন আশা কর্তৃপক্ষের। বগুড়ায় ঢালাই কারখানা রয়েছে ৩৫ টি। আর এতে উৎপাদিত পন্য প্রক্রিয়াজাতের জন্য রয়েছে ১ হাজার ২শত টি লেদ কারখানা।