আনবার প্রদেশের রাজধানী রামাদি শহরে আইএস জঙ্গী গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণাধীন একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনের পুনর্দখল নিয়েছে ইরাকি সেনাবাহিনী। রামাদিতে এটিই ছিল আইএস জঙ্গিদের সর্বশেষ ঘাঁটি, যেখান থেকে তারা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ লড়াই করে আসছিল। খবর বিবিসি ও আইআরআইবির
ইরাকের সন্ত্রাস-বিরোধী ইউনিটের মুখপাত্র শাবাহ আন-নুমান জানিয়েছেন, আইএসের কাছ থেকে (রোববার) গর্ভমেন্ট কম্পাউন্ডের নিয়ন্ত্রণ নেয়া হয়েছে। এটি ছিল রামাদিতে দায়েশ সন্ত্রাসীদের সর্বশেষ শক্ত ঘাঁটি।
শাবাহ আন-নুমান বলেন, সরকারি ভবনটি সম্পূর্ণভাবে আমাদের নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে, সেখানে কোনো সন্ত্রাসীর উপস্থিতি নেই।” তিনি জানান, ভবনের ভেতরে ঢোকার আগে পুরো কমপ্লেক্সে পেতে রাখা বোমা ও মাইন পরিষ্কার করতে হবে। শাবাহ আন-নুমান জানান, অপারেশন প্রায় শেষ হয়ে এসেছে, কিছুক্ষণের মধ্যে সেনারা সেখানে প্রবেশ করবে।সন্ত্রাস-বিরোধী ইউনিটের মুখপাত্র বলেন, এ কমপ্লেক্সের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার অর্থই হচ্ছে রামাদিতে আইএস পরাজিত হয়েছে। এখন শহরের কোথাও যদি কোনো সন্ত্রাসী লুকিয়ে থাকে তাহলে সেসব এলাকা মুক্ত করার প্রশ্ন রয়েছে। তিনি জানান, কমপ্লেক্সের যেখানে-সেখানে বহু দায়েশ সন্ত্রাসীর লাশ পড়ে রয়েছে। ইরাকি সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় তারা নিহত হয়েছে।পাঁচ দিন আগে রামাদি শহর মুক্ত করার চূড়ান্ত অভিযান শুরু হয়েছিল। অভিযানের এক পর্যায়ে ইরাকি বাহিনী বিমান থেকে লিফলেট ফেলে বেসামরিক নাগরিকদের রামাদি শহর ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।
চলতি বছর ইরাকে আইএসের বড় দখল রামাদি। বাগদাদ থেকে মাত্র ৫৫ মাইল পশ্চিমে অবস্থিত সুন্নী অধ্যুষিত এই শহরটি পুনরুদ্ধার আইএসের বিরুদ্ধে ইরাকি বাহিনীর সবচেয়ে বড় সাফল্য। ২০১৪ সালে আইএস ইরাকের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা দখল করে নেয়। তখন থেকে এ পর্যন্ত সেনাবাহিনী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে এত তীব্র লড়াই করেনি। ইরাকি বাহিনীর যৌথ কমান্ডের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার ইয়াহয়া রাসুল বলেন, শুক্রবার রাতে সৈন্যরা রামাদির হজ এলাকায় ঢুকে পড়ে। প্রদেশটির প্রশাসনিক ভবনগুলো সেখানেই অবস্থিত। আগের দিন সেনাবাহিনী প্রায় এক কিলোমিটার অগ্রসর হয়েছিল। বিমান হামলার মাধ্যমে জঙ্গিদের পেতে রাখা ফাঁদ ও বিস্ফোরক ধ্বংস করায় পদাতিক বাহিনীর এগোনো সহজ হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
Share!