জাতীয় সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রীদের মোবাইল সিমকার্ড বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধনের জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।আগামী অধিবেশনে সংসদ ভবনে অপারেটরগুলোর ডিভাইস বসিয়ে আঙুলের ছাপ তথা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের প্রস্তাব করা হয়েছে। ডাক ও টেলিযোগযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বাংলানিউজকে বলেন, শীতকালীন অধিবেশনের সময় সংসদ ভবনে একটি অস্থায়ী সেন্টার বসানো হবে। এক টেবিলে ছয়টি মোবাইল অপারেটরের ডিভাইস থাকবে। সেখানে সংসদ সদস্যরা আঙুলের ছাপ নিয়ে সহজেই তথ্য ভেরিফিকেশন করে নিতে পারবেন।এজন্য জাতীয় সংসদের স্পিকারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।‘স্পিকারের অনুমতি পেলে আগামী অধিবেশনে এ কার্যক্রম শুরু হবে। অন্তত সাতদিনের মধ্যে সংসদ সদস্যরা ভেরিফিকেশন করে নিতে পারবেন’- বলেন তারানা হালিম।গত ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ভবনে আঙুলের ছাপ নিয়ে সিম নিবন্ধন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তারানা হালিম।এ পদ্ধতিতে আগামী চারমাসের মধ্যে সব অপারেটরের সিম নিবন্ধনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার। বিটিআরসি’র নভেম্বর মাসের তথ্য অনুযায়ী, ছয়টি মোবাইল অপারেটরের মোট গ্রাহক ১৩ কোটি ৩১ লাখ ৬৩ হাজার। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে গ্রাহকদের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় গত ২১ অক্টোবর পরীক্ষামূলকভাবে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির উদ্বোধন করেন। ১ নভেম্বর থেকে মোবাইল অপারেটরগুলো পরীক্ষামূলকভাবে কার্যক্রম শুরু করে।সারা দেশে ছয়টি অপারেটরের রিটেইলার পর্যায়ে ৮১ হাজার ৫০০টি ডিভাইস দিয়ে আঙুলের ছাপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি।
মন্ত্রী-এমপিদের সিম নিবন্ধন সংসদ ভবনে
Share!