উন্নত প্রযুক্তি ও নীতিগত সহায়তার অভাব, পণ্যের গ্রেডিং নির্ধারণে ব্যর্থতাসহ নানা কারণে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ‘এক জেলা এক পণ্য’ রপ্তানির কর্মসূচি অনেকটা পণ্যের তালিকা তৈরির মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, কৃষিভিত্তিক নতুন পণ্যের রপ্তানির বাজার ধরতে হলে পণ্যের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি ও মান নিশ্চিত করার পাশাপাশি সহায়ক প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
রফতানি পণ্যের বহুমুখীকরণ এবং নিদিষ্ট কয়েকটি পণ্যের ওপর রপ্তানি নির্ভরতা কাটাতে ২০১০ সালে ইপিবি এক জেলা এক পণ্য কর্মসূচি হাতে নেয়। এজন্য মাঠ পর্যায়ে জরিপ করে ঢাকার বাইরে ৪১টি জেলার জন্য স্থানীয় প্রযুক্তি ও কম পূঁজি নির্ভর কৃষি ও হস্তশিল্পজাত ১৪টি পণ্য নির্বাচন করা হয়।
এর মধ্যে প্রাথমিকভাবে সিলেটের আগরউড ও আগর আতর, দিনাজপুরের পাপড়, বান্দরবানের রাবার এই ৩টি পণ্য ব্যাপকভাবে রপ্তানির জন্য ইপিবি কাজ শুরু করলেও নানা জটিলতায় প্রত্যাশিত অগ্রগতি হয়নি।
ইপিবি পণ্য পরিচালক মো. আব্দুর রৌফ বলেন, ‘এইসব পণ্যের ক্ষেত্রে মূল সমস্যা হলো আমাদের যারা প্রতিদ্বন্দ্বী আছে তাদের উৎপাদন ক্ষমতাটা আমাদের চেয়ে বেশি। তারা যেসব টেকনিক ব্যবহার করে সেগুলো করতে হবে।’
বিআইডিএস জ্যেষ্ঠ গবেষক ড. নাজনিনের মতে ‘এক জেলা এক পণ্য ‘ কর্মসূচি সফল করতে হলে অবকাঠামোগত সুবিধা নিশ্চিতের পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের ঋণ প্রাপ্তি, সহায়ক প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয় ও প্রচারণা দরকার।
এফবিসিসিআই সভাপতি মাতলুব আহমাদের মতে, রপ্তানির নতুন বাজার সৃষ্টি ও পণ্যের বহুমুখীকরণ ইপিবি’র একার পক্ষে সম্ভব নয়।
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে ৭’শ ২৯টি পণ্য রপ্তানি হলেও ৯২ ভাগ বৈদেশিক মুদ্রা আসে মাত্র সাতটি খাত থেকে।