বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা অর্থপাচার মামলা নিম্ন আদালতে বিচারের ধারাবাহিকতা রক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে ৫ জানুয়ারি সাবেক এ স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোশাররফ হোসেনের জামিন শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এসকে সিনহা) নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ রবিবার এ আদেশ দেন।
বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন, নাজমুন আরা সুলতানা, সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান ও মোশাররফ হোসেনের পক্ষে এ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী ও ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন। দুদকের প্যানেলভুক্ত আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, বিএনপি নেতা মোশাররফ হোসেনের জামিনের বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। একই সঙ্গে নিম্ন আদালতে এ মামলার বিচারের ধারাবাহিকতা রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ার বাদি হয়ে রাজধানীর রমনা মডেল থানায় মোশাররফের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগে এ মামলা দায়ের করেন। পরে একই বছরের ১৪ আগস্ট দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ার বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন মন্ত্রী থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন এবং তা বিদেশে পাচার করে আইন পরিপন্থী কাজ করেছেন।
মোশাররফ হোসেন ও তার স্ত্রী বিলকিস আক্তার হোসেনের যৌথ নামে যুক্তরাজ্যের লয়েডস টিএসবি অফশোর প্রাইভেট ব্যাংকে আট লাখ চার হাজার ১৪২ দশমিক ৪৩ ব্রিটিশ পাউন্ড (হিসাব নম্বর ১০৮৪৯২) জমা করেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮১ টাকা। ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল সময় পর্যন্ত মন্ত্রী থাকাকালীন মোশাররফ হোসেন ওই অর্থ পাচার করেন বলে দুদকের তদন্তে প্রমাণ পাওয়া যায়।