হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রলীগের পূর্বঘোষিত প্রোগ্রামে উপস্থিত হতে দেরি করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়াউর রহমান হলের ১০ শিক্ষার্থীকে পিটিয়েছে ঢাবি ছাত্রলীগ।শনিবার সকাল ৮টার দিকে জিয়া হল শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বনী আমিন মোল্লাসহ তার কর্মীরা ওই ১০ শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করে।আহতরা হলেন- আশিক (সমাজবিজ্ঞান), আলমগীর (বাংলা), লিটন (দর্শন), জুয়েল (ইংরেজি), ফুয়াদ ও ফিরোজ (ম্যানেজম্যান্ট অ্যান্ড ইনফরম্যাশন সিস্টেম), কামাল (আইআর), শাহাদত ও সাগর (ফিন্যান্স) এবং মোশাররফ। এদের মধ্যে মোশাররফ ১ম বর্ষের। অন্যরা দ্বিতীয় বর্ষের বলে জানা গেছে।তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে আশিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, শনিবার সকাল ৭টার দিকে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তিন নেতার মাজারে ফুল দিতে আসার জন্য হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতাকর্মীদের গেস্ট রুমে ডাকেন বনী আমিন মোল্লা। এসময় কিছু কর্মী আসতে দেরি করায় বনী ও তার কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাদের এলোপাতাড়িভাবে মারতে থাকে। এসময় আশিক নামের একজনের মাথায় আঘাত লাগলে সে গেস্টরুমে অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে আহতদের ঢামেকে ভর্তি করা হয়।এদিকে মারধরের বিষয়টি স্বীকার করেছেন বনী আমিন মোল্লা। তিনি বলেন, আমাদের ছোট ভাইদের আদরও করি আমরা আবার শাসনও করি আমরা। তাদের যাবতীয় সমস্যাগুলোও আমরা দেখি। তবে শাকিল গেস্ট রুম থেকে বের হতে গিয়ে স্লিপ করে পড়ে আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। এদিকে বনী আমিন মোল্লা মারধরের কথা স্বীকার করলেও বিষয়টি অস্বীকার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স। তাদের কোনো ধরনের মারধর করা হয়নি এবং কাউকে মেডিকেলে ভর্তি করানো হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান বিষয়টি জানেন না বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তবে যদি এমন ধরণের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে কেউ জড়িত থাকে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
১০ শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পেটালো ঢাবি ছাত্রলীগ
Share!