প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ছাড়াই আজ শেষ হচ্ছে, প্রাথমিকের সমাপনী পরীক্ষা। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী বলছেন, সরকারের কঠোর নজরদারির পাশপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক বন্ধ রাখার কারণে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। শিক্ষক নিয়োগ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসহ সব পরীক্ষার অনিয়ম দূর করার দাবি জানিয়েছেন গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী।
গত কয়েক বছর থেকে দেশের সব পরীক্ষাতেই প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি থেকে শুরু করে শিক্ষক নিয়োগ এমনকি জীবনের প্রথম জাতীয় পরীক্ষা দিতে এসে বিব্রত হতে হয়েছে প্রাথমিকের পরীক্ষার্থীদের।
এবার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেয়, ৩২ লাখ ৫৪ হাজার ৫১৪ জন পরীক্ষার্থী। গত বছরের চেয়ে পরীক্ষার্থী বেড়েছে এক লাখ ৫৯ হাজার ১৯৩ জন। হরতালের কারণে একটি পরীক্ষা পিছিয়ে কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়ে পরীক্ষার্থীরা। তবে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ না থাকায় বাড়তি চাপ নিতে হয়নি পরীক্ষার্থীদের।
তবে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমকে বন্ধ রেখে নয়, বরং তথ্য প্রযুক্তির অবাধ ব্যবহার নিশ্চিত করেই এগুতে হবে সরকারকে। এমন মত দিয়ে গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালকের দাবি প্রাথমিকের সুষ্ঠু পরীক্ষার ধারা অব্যাহত রাখতে হবে বলে বললেন গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী।
শুধু সরকার নয় শিক্ষা পদ্ধতি তথা পরীক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে শিক্ষক শিক্ষার্থী অভিভাবক সবাইকে একযোগে কাজ করারও পরামর্শ দেন তিনি।