ক্ষমা না চাওয়ার ব্যাপারে পারিবারের দাবি ভিত্তিহীন। প্রথমে মুজাহিদ ও পরে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীও প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছিলেন। শাস্তি মওকুফে সব চেষ্টাই করছিলেন তারা বলে জনিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় কক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।প্রাণভিক্ষা চাওয়ার বিষয়ে পরিবারের দাবি নিয়ে তিনি বলেন, সংবিধানের ৪৯ ধারায় তারা এই আবেদন করেছিলেন। মুজাহিদ ও সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবার না জেনেই এই ধরনের কথা বলছেন। ফাঁসির রায় বাস্তবায়নে জাতি প্রশান্তি পেয়েছে বলেও মন্তব্য করে মন্ত্রী।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের এ রায় বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে, প্রশান্তি পেয়েছে, দায়মুক্ত হয়েছে। সংবিধানের ৪৯ ধারায় রয়েছে, কোনো কর্মকাণ্ডের পরে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে পারে। ধরেই নিয়েছিলাম, তারা ক্ষমা চাইবে না। কিন্তু সকালে মুজাহিদ প্রথমেই ৪৯ ধারা অনুসারে ক্ষমা চান। এরপর সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ইংরেজিতে লেখা চিঠিতে ৪৯ উল্লেখ করে ক্ষমা চান।তিনি আরও বলেন, তাদের আবেদন আমরা রাষ্ট্রপতিকে পৌঁছে দিয়েছি। ক্ষমা না চাইলে আমরা এসব করবো কেন? পরিবার হয়ত এ বিষয়টি জানাতো না। কারণ ক্ষমা আমাদের মাধ্যমে চেয়েছেন দণ্ডিতরা।হরতাল নিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত আগেও হরতাল দিয়েছে এবারও হরতালের ডাক দিয়েছে কিন্তু তাদের হরতালে জনগণ কখনো সাড়া দেয়নি। দেবেও না।মন্ত্রী বলেন, জাতির প্রত্যাশা ও দাবি ছিল এ বিচার। যারা সরাসরি যুদ্ধ করেছিলাম, তাদের এটি প্রাণের দাবি ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছিল প্রতিশ্রুতি, ওয়াদা।আসাদুজ্জামান খান বলেন, রায়ের ব্যাপারে কোনো চাপে প্রধানমন্ত্রী বিচলিত হন না। শুধু রাষ্ট্রীয় নয়, ছোটখাট অনেক জায়গা থেকেই অনুরোধ আসে, প্রধানমন্ত্রী তাতে বিচলিত হন না কখনোই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরাপত্তায় কাজ করছে। জনসাধারণের বেশির ভাগ এখানে আনন্দ করছে রায়ের বাস্তবায়নে।
শাস্তি মওকুফে সব চেষ্টাই করছিলেন তারা
Share!